সংযুক্তিকরণ সহ চার পদ্ধতিতে বিএসএনএল-এমটিএনএল-এর পুনর্জীবন পরিকল্পনা অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

ravisankar prasad

বিবি ডেস্ক : বেসরকারিকরণ নয়। বদলে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং মহানগর টেলিকম নিগম লিমিটেড (এমটিএনএল)-এর সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসএনএল-এ কর্মী সংখ্যার চাপ কমাতে স্বেচ্ছাবসর চালুরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য বন্ড ছেড়ে এবং সংস্থার সম্পত্তি বেচে টাকা তোলা হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এর মধ্যে ১৫,০০০ কোটি টাকা তোলা হবে বন্ড ছেড়ে। আগামী চার বছরের মধ্যে ৩৮,০০০ কোটি টাকা তোলা হবে সম্পত্তি বেচে।

কর্মী সংখ্যার চাপ কমাতে স্বেচ্ছাবসর চালুরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সব কর্মীর বয়স ৫৩ বছর ছ’মাস তাঁরা স্বেচ্ছাবসর নিতে পারবেন। ৬০ বছর পর্যন্ত তারা ১২৫ শতাংশ করে সম্মানিক  বেতন, পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি পাবেন।  বর্তমান বিএসএনএল-এ কর্মীর সংখ্যা ১.৭৬ লক্ষ।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, সংস্থার অর্ধেক কর্মী ওই বয়েসের মধ্যে পড়েন।

মার্চ ২০১৮-র হিসাব অনুযায়ী বিএসএনএল-এর ৭০,০০০ কোটি টাকা জমি রয়েছে এবং ৩,৭৬০ কোটি টাকা মূল্যে বাড়ি রয়েছে। অন্যদিকে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-র ব্যালেন্স সিটে ৪০,০০০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।

দেওয়ালির উপহার হিসাবে দুটি সংস্থাকে ৪জি স্পেকট্রাম ২০১৬-র দামে দেওয়া হবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে ৪,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, এমটিএনএল-বিএসএনএল বন্ধ করা হচ্ছে না বা সরকারি অংশীদারিত্বও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না বা বেসরকারি কোনো সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.