পণ্য পরিবহণে খুলছে নতুন দিগন্ত, রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ড্রোন পরিষেবা

Drone flying in the air

মুশকিল আসান উড়ো যান

হঠাৎ প্রয়োজন পড়ল কোনও দুষ্প্রাপ্য ওষুধের। কিন্তু সে ওষুধ স্থানীয় এলাকা তো বটেই, আশাপাশে কোথাও পাওয়া গেল না। অনলাইনে খুঁজে ওষুধ তো মিলল, কিন্তু তার ঠিকানা বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে। সড়কপথে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে লাগতে পারে ঘণ্টা তিনেক। কিন্তু ওষুধ যে চাই এক ঘণ্টার মধ্যে! কী করণীয়? আকাশ পাতাল ভেবে যখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন, তখনই আপনার সামনে হাজির উড়ন্ত যান। দরকারি ওষুধ দিয়ে যা নিমেষে উড়ে গেল চোখের আড়ালে।

অবাক হচ্ছেন? গল্পকথা মনে হচ্ছে? এই ‘গল্প’ই বাস্তব হতে চলেছে, সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো চলতি মাসের শেষেই!

ড্রোনই ‘আচার্য’

ঘণ্টায় গতি ১০০ কিমিরও বেশি। বিচরণক্ষেত্র মাটি থেকে ৪০০ ফুট উপরে। এমনই ড্রোনের (Drone) সাহায্যে ওষুধ-সহ বিভিন্ন পণ্য রাজ্যের যে কোনও জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা প্রায় বাস্তবায়নের পথে। কৃষি, খনি ক্ষেত্রের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে পরিষেবার রাস্তা খুলে দিতে গত বছর ড্রোন (Drone) নীতি এনেছিল কেন্দ্র। ইতিম‌ধ্যেই দেশের আটটি শহরে ফ্লিপকার্ট (Flipkart), সুইগি (Swiggy), ব্লু ডার্টের (Blue Dart) মতো কিছু সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের পণ্য জোগান দেওয়া শুরু করেছে স্কাই এয়ার মোবিলিটি (Skye Air Mobility)। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনীতে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাসের ওষুধ পৌঁছে দেয় তারা।

আকাশপথে প্রতিশ্রুতি

স্কাই এয়ার মোবিলিটির (Skye Air Mobility) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকান্ত সারদার মতে, আগামী তিন বছরে নানা ক্ষেত্র মিলিয়ে দেশের ড্রোন পরিষেবার বাজার ৫০০ কোটি ডলারে (প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা) পৌঁছতে পারে। তাঁর দাবি, বারুইপুর থেকে মাতঙ্গিনী পর্যন্ত ড্রোনটি এক ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। সড়কপথে যে দূরত্ব ১৮৫ কিলোমিটার। গাড়িতে লাগে পাঁচ ঘণ্টা। ড্রোনে পাঠানো ওষুধ বা পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। চলতি মাসের শেষে বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

আরও পড়ুন: এই অবৈধ ফরেক্স ট্রেডিং সাইটগুলি থেকে সতর্ক থাকুন, তালিকা প্রকাশ করল আরবিআই

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.