বিগত পাঁচ বছর ধরে, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য প্রতি মাসে গড়ে ১৭.৮৮ লক্ষ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। যে কারণে গত ১০ বছরে মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যবসায় ছয়গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য কেউ নন, এই তথ্য জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
সংসদে অর্থ বিল সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে, মিউচুয়াল ফান্ডের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা ছিল ৯.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা, যা এই বছরের জুলাই শেষে ৬৪.৯৬ লক্ষ কোটি টাকায় বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সবচেয়ে বড় কারণ হল মিউচুয়াল ফান্ড গত ২০ বছরে গড়ে ১৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
এই রিটার্ন দেখে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ মিউচুয়াল ফান্ড ফোলিও তৈরি হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ নতুন বিনিয়োগকারী সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIP)-এর অধীনে বিনিয়োগের জন্য নিজেদের নাম লেখাচ্ছেন।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়া (এএমএফআই) অনুসারে, এই বছরের জুলাই মাসে এসআইপি-এর অধীনে ৭২.৬১ লক্ষ নতুন বিনিয়োগকারীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। দেশে মিউচুয়াল ফান্ড ফোলিওর সংখ্যা ১৯.৮৪ কোটিতে পৌঁছেছে।
মিউচুয়াল ফান্ড ইকো-সিস্টেম এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ভাল উপার্জনের কারণে এতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়ছে। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ইউনিয়ন মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও মধু নায়ার বলেছেন, আগামী ১০-১৫ বছরের জন্য ভারতে মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ উপার্জনের পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পর। বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা ভারতে আসছেন এবং তখন বাজারে এখনকার চেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।
তাঁর মতে, ভারতীয় মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার ধীরে ধীরে পরিপক্ক হচ্ছে এবং সে কারণেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সেবি একটি নতুন সম্পদ শ্রেণী চালু করতে চলেছে। নতুন সম্পদ শ্রেণীর অধীনে, মিউচুয়াল ফান্ডে ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের এই প্রস্তাবে তাদের মতামত দিতে বলেছে সেবি।