বিবি ডেস্ক : পণ্য পরিবহন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে বড়সড় সাফল্য পেল বাংলা। রাজ্যে বহুমুখী পণ্য পরিবহন পরিকাঠামো নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার নিয়োগ করতে চলেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি কলকাতায় কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)–র তরফে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানেই বিশ্ব ব্যাংকের এই বিনিয়োগের কথা জানান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহত্তর কলকাতাতে যাতে পরিবহন কাঠামো আরও উন্নত হয়, সেই লক্ষ্যেই এই বিনিয়োগ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে এই পরিবহন পরিকাঠামো নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান ছকে তা পাঠানো হয়েছিল বিশ্ব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের কাছে। আর সেই প্ল্যানেরই চূড়ান্ত অনুমোদন হবে চলতি সপ্তাহে। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ-এশিয়ার সংযোগকারী প্ল্যানে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে বাংলা। বিগত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও এসে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বাংলার পণ্য পরিবহনের।
জানা গিয়েছে, ২১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের এই মাস্টারপ্ল্যানে রয়েছে সড়ক, জলপথ, বিমান এবং রেলপথের পরিষেবা। বৃহত্তর কলকাতা ও শহরতলিতে পরিকাঠামো উন্নত করার চিন্তাভাবনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছেন অমিত মিত্র।
এছাড়াও রাজ্যের একাধিক জায়গায় লজিস্টিক পার্ক নির্মাণের জন্য আরও সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ডানকুনি, দুর্গাপুর, তাজপুর, মালদা শহর এবং শিলিগুড়িকে এই লজিস্টিক পার্কের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্য সরকার তাজপুরে ‘ডিপ-সি পোর্ট প্রোজেক্ট’ এর কাজ চালাচ্ছে।
মন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে বাংলা লজিস্টিক হাবে পরিণত হবে। আগামীদিনে এখানে ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের রাস্তা তৈরি হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী আশ্বাস দেন রাজ্যে বেকারত্বের সমস্যা আগামী দিনে আরও কমে যাবে। পাশাপাশি, এই ধরণের পণ্য পরিবহন প্রতিযোগিতা বাণিজ্য উন্নয়নে আরও সহায়তা এবং কর্মসংস্থান করবে বলেও জানান তিনি।
সূত্রের খবর, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখবে। যার মধ্যে থাকবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, সেজ পদ্ধতি এবং এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রাজ্য পূর্বাঞ্চলের করিডোর হিসেবে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেই বিষয়গুলো। যা ভবিষ্যতে রাজ্যে আরও বিনিয়োগের দিশা খুলে দেবে বলেই মনে করছেন অর্থমন্ত্রী।