বিবি ডেস্ক : নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। অসমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। প্রশ্ন উঠছে, বেহাল অর্থনীতিকে সামলাতে হিমশিম মোদী সরকার আবার নতুন করে নিজেকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলল কেন?
ক্যাব নিয়ে প্রতিবাদের আচ প্রথমেই পড়েছে পর্যটন শিল্পে। শীতের মরসুমে দেশের উত্তর ভারতে বেড়ানোর প্রবণতা রয়েছে পর্যটন প্রেমীদের। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে বুকিং বাতিল বাধ্য হচ্ছে পর্যটন সংস্থাগুলো।
এমনিতেই ৩৭০ধারা তুলে নেওয়া পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইচ্ছা থাকলেও ভূস্বর্গ ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে দিচ্ছেন তারা। ক্যাব নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিক্ষোভ নতুন করে তাদের হতাশ করেছে।
‘‘এই বিক্ষোভের সঙ্গে অর্থনীতিকে মূল্য দিতে হচ্ছে’’, বলে মন্তব্য করেছেন টিএস লুমবার্ডের বিশ্লেষক অমিতাভ দুবে। তার মতে, অর্থনীতির থেকে এগুলিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কারণ তারা মনে করছে এগুলি তাদের ‘রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট’ দেবে।
সদ্য ভারতীয় অর্থনীতিতে জোড়া ধাক্কার তথ্য দিয়েছে এনএসও। নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। যা অক্টোবর মাসে ছিল ৪.৬২ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে খাদ্যদ্রব্যে।এর সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে শিল্প উৎপাদনে অবনমন। অক্টোবর মাসে শিল্প উৎপাদন কমেছে ৩.৮ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৪.৫শতাংশ।
বাজারে উপভোক্তার চাহিদা ক্রমশ নিম্নমুখী। বেহাল অর্থনীতিকে কিছুটা সামল দিতে এক বছরে পাঁচবার সুদের হার কমিয়েছে রির্জাভ ব্যাঙ্ক।
বেকারের সংখ্যা গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ভোক্তাদের আস্থা তলানিতে ঠেকায় বাজারে চাহিদা কমেছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন,‘‘অর্থনীতি কোথায় আছে তা নিয়ে আমি ব্যস্ত নই। বিষয়গুলি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার দিকেই আমি জোর দিচ্ছি।’’
জহওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়ক বলেছে, নতুন আইন ‘গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যু থেকে নজর দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সাধারণ জীবন যত বিঘ্ন সৃষ্টি হবে তত তার প্রভাব পড়বে অর্থনীতি এবং উৎপাদনে।’’