শেষ কয়েকদিন ক্রমশ উপরের দিকে উঠছিল ভারতের শেয়ার বাজার। নিয়মিত নতুন নতুন মাইল ফলক অতিক্রম করছিল এ দেশের শেয়ার বাজারের সূচকগুলো। তবে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কেনাবেচার দিনে উল্টো ছবি। সেনসেক্সে প্রায় আড়াই হাজারেরও পয়েন্টের ধস।
বিশ্বের প্রায় সমস্ত বাজারে রক্তপাতের পর ভারতীয় বাজারও আজ সবচেয়ে খারাপ পতনের সম্মুখীন হয়েছে। ওপেনিং ট্রেডিংয়ের সময় নিফটি এবং সেনসেক্স, দুই সূচকই বড়সড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়৷ সেনসেক্স ২৬০০ পয়েন্ট কমে ৭৮,৩৮৫.৪৯- এ নেমে আদে, যখন নিফটি ৪৬৩.৫০ পয়েন্ট কমে ২৪,২৪৫.২৯- তে দাঁড়ায়।
প্রতিবেদন লেখার সময়, সেনসেক্সের ৫০টি শেয়ারের মধ্যে টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, জেএসডব্লিউ স্টিল, আদানি পোর্টস, মারুতি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে ছিল। সান ফার্মা এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ইতিবাচক অবস্থানে লেনদেন করছে।
বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, মার্কিন অর্থনৈতিক ডেটা প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হওয়ার পরে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বিক্রি শুরু হয়েছে৷ তার প্রভাব পড়েছে এ দেশের স্টক মার্কেটেও। শুক্রবার প্রকাশিত ডেটা দেখিয়েছে যে মার্কিন চাকরির বৃদ্ধি জুলাইয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মন্থর হয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিক ইক্যুইটির উপর চাপ রয়েছে।
এ ছাড়াও, নভেম্বরে আসন্ন মার্কিন নির্বাচন বিনিয়োগকারীদের ভাবনা বাড়াতে পারে। নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক অভাবনীয় ঘটনায় স্নায়ু চাপ বাড়তে পারে বিনিয়োগকারীদের।
একই সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে বিনিয়োগকারীরাও মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। হানিয়া হত্যায় ইজরায়েলের দায়ী করে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে লেবানন। ইরানের তরফেও প্রতিশোধ মূলক প্রস্তুতি চলছে। এ দিকে ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে ঘুটি সাজাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে ব্যাপক আকারে যুদ্ধের জল্পনা বিনিয়োগ গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বাড়াতে পারে।