পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি নেমে এল ১.৮৯ শতাংশে, খাদ্যদ্রব্যের দাম কমল

নভেম্বর মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি কমে ১.৮৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশেষত, শাকসবজি সহ খাদ্যদ্রব্যের দাম কমায় ভোক্তাদের জন্য এটি বড় স্বস্তির খবর। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৪-এ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২.৩৬ শতাংশ। তবে, এই হার এখনও নভেম্বর ২০২৩-এর তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত বছরের নভেম্বর মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ০.৩৯ শতাংশ।

খাদ্যদ্রব্যে বড়সড় মূল্যহ্রাস

খাদ্যদ্রব্যে মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরে ৮.৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এই হার ছিল ১৩.৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। নভেম্বর মাসে সবজির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৮.৫৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৬৩.০৪ শতাংশ।

আলুর দাম এখনও বেশি

যদিও আলুর মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও অনেকটাই উপরে, নভেম্বর মাসে এটি ছিল ৮২.৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে ২.৮৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জ্বালানি ও শক্তি খাতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস

জ্বালানি ও শক্তি বিভাগে মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বর মাসে কমে ৫.৮৩ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবরে ছিল ৫.৭৯ শতাংশ।

উৎপাদিত সামগ্রীর ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি

উৎপাদিত সামগ্রীর ক্ষেত্রে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরে ২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অক্টোবরে ছিল ১.৫০ শতাংশ।

পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির প্রধান উপাদানগুলি

পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিতে খাদ্যদ্রব্যের ওজন ২৪.৩৮ শতাংশ। উৎপাদন খাতের ওজন সর্বাধিক, যা ৬৪.২৩ শতাংশ। এছাড়া, প্রাথমিক পণ্য এবং জ্বালানি ও শক্তির ওজন যথাক্রমে ২২.৬২ শতাংশ এবং ১৩.১৫ শতাংশ।

সরকার প্রতি মাসের ১৪ তারিখ (অথবা পরবর্তী কার্যদিবসে) পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সূচক প্রকাশ করে। এই সূচক দেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক উৎস এবং বাছাই করা উৎপাদন ইউনিট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.