বিবি ডেস্ক: মুনলাইটিং। শব্দটি আনকোরা হলে, কাজের যে পদ্ধতিকে বোঝানো হচ্ছে, তা মোটেই নতুন নয়। এই পদ্ধতি নিয়ে নিজের কর্মীদের সতর্ক করে দিচ্ছে একের পর এক সংস্থা। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস (Infosys)।
মুনলাইটিং কী?
কোনো সংস্থায় নিয়মিত কাজের সময়ের পরে অন্য কোনো সংস্থায় চাকরি করার অনুশীলনকে বোঝায় মুনলাইটিং (moonlighting)। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার অজ্ঞাতেই অন্য জায়গায় চাকরি করেন কোনো কর্মী। সেটা হতে পারে রাতে বা প্রাথমিক সংস্থায় যে দিন ছুটি থাকে সেই দিনে।
মূলত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেই এই পদ্ধতির অনুশীলন বেশি। তবে অন্য ক্ষেত্রগুলিতেও অমিল নয়। আবার এই পদ্ধতি মোটেই নতুনও নয়। কিন্তু এর বিস্তার ঘটেছে দ্রুত। যে কারণে ‘মুনলাইটিং’ নিয়ে চিন্তিত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। তারা মনে করছে, সংস্থার উৎপাদনশীলতা প্রভাবিত হবে। আবার তথ্য বাইরে চলে যাওয়া এবং স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকছেই।
মুনলাইটিং কী? এই পদ্ধতি নিয়ে কেন কর্মীদের সতর্ক করল ইনফোসিস?
ভারতে, একজন ব্যক্তি কোনো আইন ভঙ্গ না করেই আরও একটি চাকরি করতে পারেন। কিন্তু একই ধরনের চাকরি করলে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। বেশিরভাগ সংস্থা স্থায়ী কর্মী নিয়োগের চুক্তিতে একক কর্মসংস্থান ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। এমন পরিস্থিতিতে মুনলাইটিংকে প্রতারণা হিসেবে ধরা যেতে পারে।
ইনফোসিসের সতর্কতা
মুনলাইটিং নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছে ইনফোসিস। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছে সংস্থা। মানব সম্পদ বিভাগ বলেছে, কর্মীদের আচরণবিধি অনুসারে মুনলাইটিং করার অনুমতি নেই। এ ধরনে শর্ত লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কাজ থেকে ছাঁটাই-সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আরেক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো-র চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি এই অনুশীলনটিকে প্রতারণা বলে অভিহিত করার মাসখানের পরে একই কথা বলছে ইনফোসিস। এর আগে টিসিএস এবং টেক মাহিন্দারও মুনলাইটিং নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করেছিল। এ বার ইনফোসিস কর্মীদের ই-মেল পাঠাল। যার বিষয়ে লেখা হয়েছে, ‘নো টু-টাইমিং, নো মুনলাইটিং’।