Connect with us

খবর

শিল্পকে দিবারাত্র সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাজ্য, আশ্বাস মন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আরও নিশ্চিত করেছে। যা লগ্নিকারীদের পুঁজি ঢালার আগে স্থানীয় পরিবেশ যাচাই করার ক্ষেত্রে অন্যতম মাপকাঠি।

Published

on

কলকাতা: মাস কয়েক আগে শিল্প দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন বণিকসভায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja) দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এ রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা আরও নিশ্চিত করেছে। যা লগ্নিকারীদের পুঁজি ঢালার আগে স্থানীয় পরিবেশ যাচাই করার ক্ষেত্রে অন্যতম মাপকাঠি।

মন্ত্রীর আশ্বাস

শুক্রবার বণিকসভা ক্যালকাটা চেম্বারের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বড়-ছোট-মাঝারি, রাজ্যের কাছে সব শিল্পই সমান। এখানে সকলেই গুরুত্বপূর্ণ— এই বার্তাই দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। পাশাপাশি লগ্নি টানতে পশ্চিমবঙ্গে সহায়ক পরিবেশ তৈরির পরিবেশকে আরও প্রসারিত করতে পদক্ষেপেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্পের অভাব নিয়ে প্রায়শই সরকারকে কটাক্ষ করে থাকেন বিরোধীরা। সে প্রসঙ্গ এ দিন না উঠলেও শশীর দাবি, লগ্নিকারী বড়, ছোট না মাঝারি, সেই বিচারে কোনও নাম রাজ্যের কাছে জরুরি নয়। সবাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, দিনে হোক বা রাতে, ওষুধের যেমন যে কোনও সময়েই প্রয়োজন পড়ে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। রাজ্যও শিল্পকে দিবারাত্র সহায়তা করতে প্রস্তুত।

বিরোধীদের দাবি

বিরোধীদের আরও একটি বড় সমালোচনার জায়গা হল শিল্পের জন্য জমি। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ করে বড় শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি পাওয়ার সমস্যা রয়েছে রাজ্যে। এটি ভ্রান্ত ধারণা দাবি করে শশীর বার্তা, এ নিয়ে রাজ্যের সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্টও সমর্থন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে লগ্নিকারীরা সরাসরি জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে তা জোগাড় করতে পারেন। নয়তো বিভিন্ন সরকারি শিল্প পার্কে যে ১০ হাজার একরেরও বেশি রয়েছে, সেখানে বাকি জমি নিতে পারেন।

এ দিন মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো রাজ্যে সহজে ব্যবসার পরিবেশ গড়ার কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। যেমন এক জানলা ব্যবস্থার পোর্টাল শিল্পসাথীর আধুনিক সংস্করণ আগামী ডিসেম্বরেই চালু হবে বলে আশা তাঁদের। লজিস্টিকস বা পরিবহণ নীতি নিয়েও চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে রেকর্ড পতন, আরও নামার আশঙ্কা

Advertisement
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Advertisement