১ এপ্রিল থেকে এই নম্বরগুলিতে বন্ধ হবে UPI পরিষেবা, কাদের জন্য প্রযোজ্য এবং কীভাবে এড়ানো যাবে?

১ এপ্রিল থেকে নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বরগুলোর সঙ্গে যুক্ত UPI আইডি মুছে ফেলা হবে। ফলে গুগল পে, ফোনপে, পেটিএমের মতো পেমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)।

নিষ্ক্রিয় নম্বরের বিরুদ্ধে NPCI কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে?

NPCI-এর মতে, নিষ্ক্রিয় নম্বরগুলির সঙ্গে যুক্ত UPI আইডি নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। অনেক ব্যবহারকারী নতুন নম্বর নিলেও পুরোনো নম্বরের সঙ্গে যুক্ত UPI অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেন না। পরবর্তীতে সেই নম্বর অন্য কাউকে দিলে প্রতারকরা তা ব্যবহার করতে পারে। এই ঝুঁকি এড়াতেই NPCI ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে নিষ্ক্রিয় নম্বর UPI নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কারা UPI পরিষেবা হারাবেন?

  • যদি কেউ নিজের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে থাকেন কিন্তু সেটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে আপডেট না করে থাকেন।
  • যাঁরা তাঁদের পুরোনো নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট করেছেন কিন্তু নতুন নম্বর ব্যাঙ্কে আপডেট করেননি।
  • দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা নম্বর, যা কল, SMS বা অন্যান্য পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।
  • যেসব UPI ব্যবহারকারীর পুরোনো নম্বর অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে।

UPI পরিষেবা বন্ধ হওয়া এড়ানোর উপায়

  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর সক্রিয় কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • যদি নম্বর পরিবর্তন করা হয়ে থাকে, তবে তা ব্যাঙ্কের সঙ্গে আপডেট করুন।
  • ১ এপ্রিলের আগে নিষ্ক্রিয় নম্বরের বদলে নতুন নম্বর নিলে UPI পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

ব্যাঙ্কগুলি কী করবে?

  • NPCI ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারীদের নিয়মিত নিষ্ক্রিয় ও পুনর্বিন্যাস করা নম্বর যাচাই করতে বলেছে।
  • নিষ্ক্রিয় নম্বরধারী ব্যবহারকারীদের UPI পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আগে ব্যাঙ্ক থেকে নোটিফিকেশন পাঠানো হবে।
  • যদি ব্যবহারকারী সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেও নম্বর সক্রিয় না করেন, তবে প্রতারণা রোধে সেই UPI আইডি মুছে ফেলা হবে।
  • যাঁরা ১ এপ্রিলের আগে তাঁদের মোবাইল নম্বর আপডেট করবেন, তাঁদের UPI পরিষেবা বন্ধ হবে না।

সুতরাং, নিরবচ্ছিন্ন UPI লেনদেন নিশ্চিত করতে এখনই ব্যাঙ্কের সঙ্গে নম্বর আপডেট করে রাখুন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.