দ্রুত বিশাল অঙ্কের সম্পদ খুইয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ইলন মাস্ক

elon musk

টেসলার শেয়ারের দামে ব্যাপক পতন। বড়ো ধাক্কা কর্ণধার ইলন মাস্কের সম্পদে। ব্যক্তিগত সম্পদ হ্রাসের নিরিখে একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছেন টুইটারের মালিক। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনার পরে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও।

এক বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ হ্রাস

ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, ২০২১ সালে ইলন মাস্কের সম্পদ ছিল ৩২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কমে মাত্র ১৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, গত ২০২২ সালে প্রায় ১৮ হাজার কোটি ডলার হারিয়েছেন মাস্ক।

এত অল্প সময়ে সম্পত্তি হারানোর ক্ষেত্রে ২২ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন মাস্ক। এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ডটি জাপানি প্রযুক্তি বিনিয়োগকারী মাসায়োশি সানের নামে ছিল। যিনি ২০০০ সালে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার হারিয়েছিলেন। তবে এ বার এই রেকর্ড নিজের নামে করে ফেললেন মাস্ক।

মাস্কের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন আদানি

সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০ হাজার ডলার মূল্যের সম্পদ হারিয়েছেন মাস্ক। তিনিই প্রথম কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ হাজার ডলার মূল্যের সম্পদ হারিয়েছেন। ইলন মাস্কের সম্পদের এতটাই পতন হয়েছিল যে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মর্যাদাও হারান। ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড লুই ভিতোঁর প্রবর্তক বার্নার্ড আর্নল্ট টপকে গিয়েছেন মাস্ককে। বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার কোটি ডলার। এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মাস্ক।

তবে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী হওয়ার খেতাবও মাস্কের হাতছাড়া হওয়ার পথে। ওই খেতাবের দিকে এগিয়ে চলেছেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি। যে কোনো সময় মাস্ককে পেছনে ফেলেতে পারেন আদানি। মাস্ক এবং আদানির সম্পদমূল্য যথাক্রমে ১৩ হাজার কোটি এবং ১২ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ, দু’জনের সম্পদের ফারাক রয়েছে মাত্র হাজার কোটি ডলারের।

আরও পড়ুন: কর বাঁচাতে ভরসা রাখতে পারেন ইএলএসএস-এর উপর, কী ভাবে কাজ করে এই প্রকল্প

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.