রতন টাটার মৃত্যু, টাটা গ্রুপের শেয়ারগুলিতে নজর থাকবে বিনিয়োগকারীদের

টাটা গ্রুপের শেয়ার বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং সেশনে বিশেষ নজরে থাকবে, কারণ বুধবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এমিরিটাস রতন টাটা প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ৮৬ বছর বয়সে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এক মিডিয়া বিবৃতিতে রতন টাটার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর অবদানগুলো ভারতের ভিত্তিকে প্রভাবিত করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা গভীর শোকের সঙ্গে রতন নাভাল টাটাকে বিদায় জানাচ্ছি, তিনি ছিলেন এক অপ্রতিরোধ্য নেতা, যার অমূল্য অবদান শুধুমাত্র টাটা গ্রুপ নয়, বরং আমাদের জাতির ভিত্তিকে গঠন করেছে।”

২০২৪ সালে টাটা গ্রুপের শেয়ারগুলোর মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১৫.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এবং টাটা মোটরসের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের মাধ্যমে।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, টাটা গ্রুপের শেয়ারগুলি বিভিন্ন খাতে বৈচিত্র্য, নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান এবং মূলধনের বৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় রাখে। যা দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য অনেক বিনিয়োগকারীর কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। তবে রতন টাটার মৃত্যুর পর এই শেয়ারগুলিতে তাৎক্ষণিক ভাবে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিচালনমণ্ডলীর পরবর্তী পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে এই স্টকগুলির ওঠা-নামা।

রতন টাটার মৃত্যু পর, বিনিয়োগকারীরা টাটা গ্রুপের উত্তরাধিকার পরিকল্পনা সম্পর্কে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন, কারণ এটি কোম্পানির কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।

এমনিতে বুধবার ভারতীয় শেয়ার সূচকগুলি নিম্নমুখীভাবে বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি শিথিল করার পর ব্যবসার শেষ ঘণ্টায় মুনাফা কাটছাঁট হওয়ার কারণে এই পতন ঘটে।

নিফটি ৫০ সূচক ০.১২% কমে ২৪,৯৮২ এ বন্ধ হয়েছে, আর সেনসেক্স ০.২১% পড়ে ৮১,৪৬৭ এ পৌঁছেছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নিফটি ভালোভাবে শুরু করেছিল, কিন্তু লাভ ধরে রাখতে পারেনি, যার ফলে দুর্বল অবস্থানে বন্ধ হয়েছে। ঘণ্টার চার্ট অনুযায়ী, সূচকটি ২০ ডিএমএর উপরে আছে, যা নির্দেশ করে যে খুব স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা ইতিবাচক। যদি এটি ২৪,৯৪০-এর উপরে থাকে, তবে ভাল থাকতে পারে। কিন্তু যদি ২৪,৯৪০ এর নিচে নামে, তবে ২৪,৮০০ বা ২৪,৭০০-য় পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপর দিকে, ২৫,১০০ একটি বাধা হতে পারে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.