বিবি ডেস্ক: ক্রমশ বাড়ছে সুদের হার। তা সত্ত্বেও চলতি আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ঋণের (bank credit) পরিমাণ যথেষ্ট বাড়বে। সোমবার এমনটাই বলল আর্থিক বাজারের জন্য ক্রেডিট রেটিং এবং বিশ্লেষক সংস্থা ফিচ রেটিংস (Fitch Ratings)।
কত থেকে কত হতে পারে
ঋণের শক্তিশালী বৃদ্ধির নিরিখে নিট রাজস্ব উপকৃত হবে বলে ধারণা ফিচের। তাদের মতে, বিশেষ করে এটা ব্যাপক নিট সুদের মার্জিনের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফিচের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০২৩ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ক্রেডিট বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। যা আগের বছরে ছিল ১১.৫ শতাংশ। কোভিড-১৯ মহামারির পরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের স্বাভাবিক হয়েছে। তবে জিডিপি বৃদ্ধির ফলে যা নামমাত্র ত্বরান্বিত হবে। খুচরো এবং কার্যকরী মূলধনের চাহিদা ঋণের গতি বাড়ায়”।
জিডিপি বৃদ্ধি ৭ শতাংশ
২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ভারতের প্রকৃত জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফিচ। বলেছে, এটা ৭ শতাংশ হতে পারে। সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও তহবিল বাড়াতে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ২০২২ সালে একাধিক বারে নিজের মূল সুদের হার (Repo rate) ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। অন্য দিকে, বর্তমান এবং পরবর্তী অর্থবছরে ১১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে আমানত। যা ঋণ বৃদ্ধির চেয়ে অনেকটাই ধীর। একই সঙ্গে ফিচ জানিয়েছে, “সাধারণত মূলধন পরিকল্পনার দিক থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির চেয়ে ভালো অবস্থান নেয় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি। যদিও নতুন ইক্যুইটি বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি সুবিধাবাদী এবং ক্রমবর্ধমান হতে পারে। ফলে পুঁজিবাজারে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এমন ঝুঁকি কমাতে হবে তাদের”।
কী কারণে বাড়ছে ঋণের চাহিদা
ব্যাঙ্ক ঋণের একটা বড়ো অংশের গ্রাহক শিল্পপতিরা। নিজেদের ব্যবসার জন্য ঋণ নেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে আবার একটা বড়ো অংশের প্রয়োজন বৈদেশিক বাণিজ্য ঋণ। এত দিন বিদেশ থেকে নেওয়া সেই সব ধারে সুদ ভারতের থেকে অনেক কম ছিল। সম্প্রতি আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে সুদ বৃদ্ধি হয়েছে। কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে ইয়েস ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দ্রনীল পান বলেন, চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে গিয়ে হালে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্রুত গতিতে সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিতে বেড়ে গিয়েছে ঋণের চাহিদা।
আরও পড়ুন: সময় আর সপ্তাহ দুয়েক, বিশেষ এই কাজ না করলে বন্ধ হতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট!