বড় পদক্ষেপ নিল ফার্মা সেক্টরের সংস্থা সোলারা অ্যাকটিভ ফার্মা সায়েন্সেস লিমিটেড। ২০২৪ সালের মে মাসে কোম্পানির শেয়ার ৪০০-র আশেপাশে ছিল, যা পরবর্তীতে ৮৫০ ছাড়িয়ে যায়। তবে, গত দুই মাসে শেয়ারটি পতনের মুখে পড়ে ৬২২-তে নেমে আসে। তবে সংস্থা বাজার বন্ধ হওয়ার পর ডিমার্জারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি তাদের ত্রৈমাসিক ফলাফলও প্রকাশ করেছে।
এফআইআই বিনিয়োগ এবং প্রোমোটারদের অংশীদারিত্ব
বিদেশি সংস্থাগুলি (FIIs) গত তিন ত্রৈমাসিক ধরে শেয়ার কিনছে।
জুন ২০২৪-এ তাদের অংশীদারিত্ব ছিল ১৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ ১৪.২৫ শতাংশ এবং বর্তমানে ১৪.৬৭ শতাংশ হয়েছে।
তবে, প্রোমোটারদের বন্ধক রাখা শেয়ারও বেড়েছে।
প্রোমোটারদের মোট অংশীদারিত্ব ৩৭.২৩ শতাংশ, যার মধ্যে ৪০.৭৪ শতাংশ বন্ধক রাখা হয়েছে (আগের ত্রৈমাসিকে যা ৩৮ শতাংশ ছিল)।
সোলারা অ্যাকটিভ ফার্মা কী করে?
সংস্থাটি এপিআই (Active Pharmaceutical Ingredients) তৈরিতে বিশেষজ্ঞ, যা ফার্মা ইন্ডাস্ট্রির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, কার্ডিওভাসকুলার, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ও সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম (CNS) সম্পর্কিত ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করে। এসব এপিআই ব্যবহার করে ওষুধ প্রস্তুতকারকরা ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ এবং ইনজেকশন তৈরি করে, যা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে সরবরাহ করা হয়।
ডিমার্জারের ঘোষণা এবং ত্রৈমাসিক ফলাফল
কোম্পানি CRAMS ও পলিমারস ব্যবসা আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংস্থাটি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।
২০২৩ সালে যেখানে সংস্থার ক্ষতি ছিল ২৭৫ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪ সালে ৮.০৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বিক্রি ৪১.৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০০.৩১ কোটি টাকা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২১১.৯৪ কোটি টাকা।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থার শেয়ার মার্কেটে কতটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলবে।