নতুন বছরেও চাপের মুখে স্মার্টফোন বাজার, তবে বিক্রি বাড়বে

SmartPhone

মুদ্রাস্ফীতি। সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটার কারণে উৎপাদনের উপাদানে ঘাটতি। আরও বেশ কিছু কারণে বিশ্বের অন্য দেশগুলির মতোই ভারতের স্মার্টফোন বাজারের বৃদ্ধিতেও কোপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই ২০২২ সালে স্মার্টফোন বাজারে পতন দেখা দিয়েছে ৫ শতাংশ। শেষ হতে চলা বছরে পরিমিত বৃদ্ধির রেশ ধরেই আগামী বছরেও চাপের মধ্যে থাকার জোরালো ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফিচার থেকে স্মার্টফোনে স্থানান্তর

বর্তমানে ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ কোটিরও বেশি। এই সংখ্যা সময়ের সঙ্গেই বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, এখনও যে সব মানুষ ফিচার ফোন ব্যবহার করেন, তাঁরাও স্মার্টফোনে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। সঙ্গে নতুন ক্রেতা তো থাকছেই ।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যবহারকারীদের প্রতিস্থাপনের চাহিদা ২০২৩ এবং তার পরেও বাজারকে চালিত করবে। গবেষণা বিশ্লেষক অঙ্কিত মলহোত্র সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে বলেছেন, “২০২২ সালে ভারতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্মার্টফোন ছিল ফাইভ-জি। পরের বছর তা সমস্ত স্মার্টফোনের ৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছবে”।

ফোর-জি থেকে ফাইভ-জি

তবে গ্রাহকের হাতে ফাইভ-জি স্মার্টফোন চলে এলেও তাতে পরিষেবার উন্নয়ন ঘটেনি। এখন অবশ্য ভারতের একাধিক শহরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেল। ২০২৩ সালে এক-তৃতীয়াংশ গ্রাহকের কাছে ফাইভ-জি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে তারা। ফোর-জি থেকে একটা বড় অংশের গ্রাহক উন্নীত হবেন ফাইভ-জি-তে।

দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা খুবই দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তা ব্যবহার করার জন্য অবশ্য তাঁদের ফাইভ-জি এনেবেল ফোন হাতে রাখতে হবে।

কেনাবেচা বাড়বে

স্মার্টফোনের কেনাবেচায় গতি আনতে পারে সরকারি পদক্ষেপও। যেমন, ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালে প্রত্যেক মহিলার হাতে স্মার্টফোন তুলে দিতে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে রাজস্থান সরকার। স্মার্টফোন সংস্থার জন্য একটি টেন্ডার তৈরি করেছে তারা।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ-এর মতে, “আমরা আশা করছি আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতিমূলক ম্যাক্রো পরিবেশ আরও ভাল হবে। তাই, ২০২২ সালে যে সব ক্রেতা নতুন স্মার্টফোন কিনব কিনব করেও কিনতে পারেননি, তাঁরা ২০২৩-এ একটা নতুন ফোন কিনতে সক্ষম হবেন।”

২০২২ সালে একাধিক নেতিবাচক ঘটনা সত্ত্বেও, ভারতের স্মার্টফোন বাজার স্থিতিস্থাপক এবং অন্যান্য অনেক অঞ্চলের তুলনায় ভাল পারফর্ম করেছে বলে দাবি করেছে গবেষক সংস্থা।

আরও পড়ুন: সময় আর মাত্র তিন মাস, এই দুই পরিচয়পত্রের সংযুক্তি না থাকলে হবে জরিমানা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.