বিবিডেস্ক: কথায় আছে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বউবাজার বিপর্যয় যেন সেই প্রবাদটি প্রমাণ করল। মেট্রো সুড়ঙ্গের বিপত্তি ঘটে বউবাজারের বাড়ি ধসে যাওয়ার ফলে রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়া বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন মধ্য কলকাতার একাধিক হোটেলে। আর এই ঘটনায় এক ধাক্কায় আচমকা ব্যবসা বাড়িয়ে দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা এই হোটেলগুলোর।
প্রিন্সেপ স্ট্রিটের হোটেল এমব্যাসি, এম জি রোডের হোটেল হিমালয়, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউর হোটেল ব্রডওয়ে, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর গেস্ট হাউসের মতো হোটেলগুলোর প্রায় সবকটি ঘরে এসে উঠেছেন বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। সারা বছরে মধ্য কলকাতার এই হোটেল গুলোর ব্যবসা লাভের মুখ দেখে না বললেই চলে। শুধু তাই নয় এই বাসিন্দাদের ঠিক কতদিন পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আর তাই ইতিমধ্যে বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ করা শুরু করে দিয়েছে হোটেলগুলো। কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন এবং স্যাকরাপাড়ার প্রায় ৪০০ বাসিন্দাকে আশ্রয় দিয়েছেন মধ্য কলকাতার ১১টি হোটেলে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার সমস্ত খরচই বহন করছে কেএমআরসিএল।
নিজেদের বসত ভিটে হারিয়ে ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন গিয়েছেন এই বাসিন্দারা। রাতারাতি সব খুইয়ে উঠেছেন হোটেলের ঘরে। কোনো ভাবেই যাতে তাঁদের সমস্যা না হয় সেটা নজরে রাখছেন বলেই জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা। মেট্রো কর্তপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে হোটেলে থাকা বউবাজারের বাসিন্দাদের স্বাচ্ছন্দ প্রদানে নজর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
মধ্য কলকাতার এই হোটেলগুলোতে সারাবছর ৬০ শতাংশ ব্যবসা হলেই লাভ করেন মালিকরা। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ই তা হয় না বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে এই ঘটনার পর হোটেলগুলোর সমস্ত ঘরেই বুকিং রয়েছে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার নিয়ে রাউন্ড দ্য ক্লক পরিষেবা দিতে হচ্ছে কর্মচারীদের। আর তাই বাইরে থেকে একাধিক কর্মী নিয়োগ করতে হয়েছে হোটেলগুলোতে।