তৃতীয় ত্রৈমাসিকের (Q3) কর্পোরেট আয়ের বিষয়ে উদ্বেগের কারণে বৃহস্পতিবারও দেশের স্টক মার্কেটে পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্স ৫০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে দিনের সর্বনিম্ন ৭৭,৬৬৮.৭২-এ পৌঁছেছে। নিফটি ফিফটি-ও ২৩,৫৩৭.৯৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সেনসেক্স ৫২৮ পয়েন্ট পড়ে ৭৭,৬২০-তে এবং নিফটি ১৬২ পয়েন্ট কমে ২৩,৫২৬-এ লেনদেন করছিল।
বৃহত্তর মার্কেট সূচকগুলিতেও পতন দেখা গিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মুনাফা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ থাকার ফলে বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট সিজন। টাটা কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস (TCS)-এর ত্রৈমাসিক ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়। টিসিএস ছাড়াও আজ আয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করছে ইন্ডিয়ান রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি, টাটা এলক্সি, জিটিপিএল হ্যাথওয়ে, মিশকা এক্সিম, পদম কটন ইয়ার্নস, টিমো প্রোডাকশনস এইচকিউ, ভিভো বায়োটেক, এবং ইয়াশ হাইভোল্টেজ।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আজ থেকে বিভিন্ন সংস্থার ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশ শুরু হচ্ছে। এর ফলে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। টিসিএস-এর ফলাফল আইটি সেক্টরের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইঙ্গিত দেবে। মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থা এবং রুপির অবমূল্যায়ন আইটি সেক্টরের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
মেহতা ইক্যুইটিস লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ) প্রশান্ত টাপসে বলেছেন, টিসিএস-এর ত্রৈমাসিক ফলাফল এবং শুক্রবার প্রকাশিত হতে চলা মার্কিন নন-ফার্ম পে-রোল ডেটা বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারে দুর্বলতার আরেকটি কারণ হলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের (FII) বিক্রির চাপ। গতকাল বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৩,৩৬২ কোটির শেয়ার বিক্রি করেছে, যা জানুয়ারির মোট বিক্রির পরিমাণকে ১১,৯৩২ কোটিতে নিয়ে গিয়েছে।