খবর
২০০০ টাকার নোট এখন কেন কম দেখা যায় জানেন? জেনে নিন সরকার কী বলছে
তা হলে কি ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে? কবে থেকে ছাপা হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোট?

তা হলে কি ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে? কবে থেকে ছাপা হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোট?
বিবি ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোটের ব্যবহার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এটিএম মেশিন থেকেও এখন ২০০০ টাকার নোট তুলনামূলক ভাবে কম পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য কী? এখন সরকার নিজেই এর উত্তর দিয়েছে।
সরকার লোকসভায় জানিয়েছে যে, গত দু’বছরে ২০০০ টাকার একটিও নোট ছাপানো হয়নি, যে কারণে বাজারে এর সংখ্যাও কমে গিয়েছে।
সোমবার সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, ৩০ মার্চ, ২০১৮-তে, ২০০০ টাকার ৩৩৬.২ কোটি টাকার নোট প্রচলিত ছিল, এবং ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সেই সংখ্যাটি ২৪৯.৯ কোটিতে নেমে এসেছে।
অর্থমন্ত্রী নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জন সাধারণের লেনদেনের চাহিদা মেটাতে আরবিআইয়ের পরামর্শে যে কোনো মূল্যের নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০০ টাকার নোট ছাপার জন্য ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ সালে কোনো অর্ডার দেওয়া হয়নি।
কবে থেকে ছাপা হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোট?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) জানিয়েছিল, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে (অর্থাৎ, এপ্রিল, ২০১৬ থেকে মার্চ, ২০১৭) ৩৫৪.২৯৯৯১ কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই তথ্য প্রকাশ করেছিল আরবিআই।
তবে, ২০১৭-১৮ সালে শুধুমাত্র ১১.১৫.৭ কোটি টাকার ২০০০-এর নোট ছাপা হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে তা নেমে আসে ৪.৬৬৯ কোটিতে। এর পর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে একটিও ২০০০-এর নোট ছাপা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আরবিআই-এর প্রতিবেদনে।
ধারণা করা হচ্ছে, কালো টাকা আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোটবন্দির পরে সরকার নতুন ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছিল। পরে ধাপে ধাপে এগুলি ছাড়াও, সরকার ১০, ২০, ৫০, ১০০ এবং ২০০ টাকার নতুন নোট নিয়ে এসেছে।
আরও পড়তে পারেন: এলআইসির আইপিও হলে চাকরি যাবে কি? উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
খবর
আদানি-বিপর্যয়ের মধ্যেও চাঙ্গা শেয়ার বাজার, লম্বা দৌড় সেনসেক্স-নিফটির
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি।

সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে শক্তিশালী অবস্থানে থিতু হয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। ফিন্যান্সিয়াল এবং আইটি শেয়ারগুলির কাঁধে ভর দিলে অনেকটাই উঁচুতে উঠে বন্ধ হয়েছে অন্যতম সূচকগুলি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) নিজের ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট পেশ করার আগে আর্থিক লাভ করেছে।
বিএসই সেনসেক্স (BSE Sensex) ৯০০ পয়েন্ট উপরে উঠে ৬০.৮৫০-এর কাছাকাছি স্থির হয়েছে। অন্য দিকে, এনএসই নিফটি (NSE Nifty) প্রায় ২৫০ পয়েন্ট এগিয়ে ১৭,৮৫০-এর উপরে বন্ধ হয়েছে। নিফটি এই সপ্তাহে ১.৪ শতাংশ বেড়েছে এবং এর অন্তর্গত ৫০টি স্টকের মধ্যে লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৭টি। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে নিফটি ব্যাঙ্ক এই সপ্তাহে ২.৭ শতাংশ লাফিয়েছে। অন্য দিকে, ইনফোসিস-এর মতো সংস্থার উপর নির্ভর করে নিফটি আইটি সূচক টানা চতুর্থ সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি। এ ছাড়াও এ দিন সবচেয়ে সক্রিয় স্টকের মধ্যে ছিল আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি পোর্টস সেজ, আরআইএল, এসবিআই, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। নিফটি-কে পিছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেক, উইপ্রো সেনসেক্সে ওজন করেছে যখন ডিভিস ল্যাবস, বিপিসিএল।
প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারের পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও বন্ধ করার পরে আদানি এন্টারপ্রাইজ ২ শতাংশের বেশি কমে ১,৫৩১ টাকায় নেমে এসেছে। আদানি টোটাল গ্যাস ৫ শতাংশ, আদানি গ্রিন এবং আদানি ট্রান্সমিশন ১০ শতাংশ করে কমেছে।
ও দিকে, আমেরিকার শেয়ার বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে বাজার খোলার কিছু ক্ষণ পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দরের পতন ঘটতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ে ডাও জোন্স সূচকেও। এক সময় সূচক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় আদানির সংস্থাকে। পরে আবার তা চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিক ভাবে আদানিদের ওই সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর তার অভিঘাতে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পতন ঘটে ডাও জোন্স সূচকে।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
খবর
সস্তায় ‘ভারত আটা’ বিক্রি করবে সরকার, জানুন দাম কত
খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্পের আওতায় এই আটা বিক্রি হবে। এর নাম ‘ভারত আটা’

খোলা বাজারে আটার দাম বেড়েছে অনেকটাই। বাড়তি চাপ পকেটে। স্বস্তি দিতে শীঘ্রই সস্তায় আটা সরবরাহ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্পের আওতায় এই আটা বিক্রি হবে। এর নাম ‘ভারত আটা’ (Bharat Atta)।
কত দাম ভারত আটার
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, বেশি দামে আটা কেনা গ্রাহকরা স্বস্তি পেতে চলেছেন এই সরকারি উদ্যোগে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ‘ভারত আটা’ বিক্রি শুরু হবে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি আউটলেট থেকে প্রতি কেজি ভারত আটা কেনা যাবে ২৯.৫০ টাকায়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED) এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্রেডিট কাউন্সেলিং (NFCC) ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই আটা বিক্রি শুরু করবে।
গম দেবে এফসিআই
বর্তমানে দেশে কেজি প্রতি আটার দাম অন্ততপক্ষে ৩৮ টাকা। এমতাবস্থায় সরকারের এই প্রকল্পের ফলে জনগণের কাছে সস্তায় আটা পৌঁছে যাবে। জানা গিয়েছে, খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের সচিব সঞ্জীব চোপড়া একটি বৈঠকে এর ওপেন মার্কেট সেল স্কিম পর্যালোচনা করেছেন।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)-র ডিপো থেকে কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, এনএএইইডি এবং এনসিসিএফ সংস্থাগুলি ৩ এলএমটি পর্যন্ত গম তুলবে। এর পরে, এই গম থেকে আটা তৈরির পর খুচরো দোকান এবং সরকারি আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে তা বিক্রি করা হবে।
বলে রাখা ভালো, এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওপেন মার্কেট স্কিম পর্যালোচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন গম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
খবর
ফের কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এডটেক সংস্থা বাইজু’স
গত বছরের অক্টোবরে প্রায় আড়াই হাজার কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছিল বাইজু’স। যা ছিল সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ। এ বার ফের দেড় হাজার!

আরও এক দফায় কর্মী ছাঁটাই করছে এডটেক সংস্থা বাইজু’স (Byju’s)। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, এ বার প্রায় দেড় হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এই সংস্থা।
গত বছরের অক্টোবরে প্রায় আড়াই হাজার কর্মীকে ছেড়ে দিয়েছিল বাইজু’স। যা ছিল সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ। ফের এক বার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে সংস্থা। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রডাকশন বিভাগের কর্মীদের উপরই এ বার কোপ পড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কয়েক জনের মন্তব্য উদ্ধৃত করে মিন্ট-এ দাবি করা হয়েছে, পরিচালন ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। একই সঙ্গে রয়েছে আউটসোর্সিংয়ের পরিকল্পনাও।
অক্টোবরে কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় বাইজু’স-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বাইজু রবিন্দ্রন কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন এই আড়াই হাজারের (সে সময় এই সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হয়েছিল) বাইরে আর কাউকে ছাঁটাই করা হবে না।
এরই মধ্যে সূত্রের খবর, অপারেশন, লজিস্টিকস, কাস্টমার কেয়ার, ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস, মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস এবং অন্যান্য টিমের মতো কিছু বিভাগে আউটসোর্স করার পরিকল্পনা করছে সংস্থা।
গত বছরের শেষ দিকে বড়োসড়ো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা। নতুন বছরেও পিছু ছাড়ছে না কর্মী ছাঁটাইয়ের দু:সংবাদ। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, মূলধনের অভাবে শেষ কয়েক মাসে ৪৪টি স্টার্টআপ ১৬ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। বাইজু’স, অ্যানঅ্যাকাডেমি, বেদান্তুর মতো এডু টেক সংস্থাগুলিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
শুধুমাত্র এ বছরের জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে, কমপক্ষে দেড় স্টার্টআপ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। গত এক বছরে ২২ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স3 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন
-
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি2 months ago
হোয়াটসঅ্যাপে এলআইসি পরিষেবা, জানুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি