দাম কমেছে খাদ্যপণ্যের! যে কারণে জুলাই মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩.৫৪ শতাংশে। এটি ৫৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর (প্রায় পাঁচ বছর) বলে দাবি সরকারের। এর পরেই যে প্রশ্ন উঠছে তা হল, আরবিআই কি এ বার সুদের হার কমাবে?
চলতি বছরের জুনে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৫.০৮ শতাংশ। মাত্র চার দিন আগে, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ক্রমবর্ধমান খুচরো মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বিশেষ করে খাদ্য সামগ্রীর দাম নিয়ে তিনি বলেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে, আরবিআই নিজের রেপো রেট (কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল সুদের হার) পরিবর্তনের ঝুঁকি নিতে পারে না।
চলতি বছরের জুন মাসে খাদ্যপণ্যের খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৩৬ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল মাত্র ৫.৪২ শতাংশ। গত আট মাস ধরে খাদ্যপণ্যের খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের বেশি ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী মাসগুলিতে যদি খুচরো মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ের মতোই থাকে, তবে আরবিআই অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে সুদের হার কমাতে পারে। গত ৮ আগস্ট মুদ্রা নীতি কমিটির (এমপিসি) পর্যালোচনার পরে আরবিআই গভর্নর বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতির হার ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। কারণ খুচরো মূল্যস্ফীতির ৪৭ শতাংশের জন্য দায় বর্তায় খাদ্য সামগ্রীর দামে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যের দাম নিম্নমুখী হওয়ার ফলে আগামী মাসগুলিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার আরও কমতে পারে। সোমবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে শহরাঞ্চলে খুচরো মূল্যস্ফীতির হার ছিল মাত্র ২.৯৮ শতাংশ, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় এই হার ছিল ৪.১০ শতাংশ। বলে রাখা ভালো, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্যাটাগরিতে পোশাক ও জুতোর খুচরো মূল্য বেড়েছে ২.৬৭ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগে ২.৪৮ শতাংশ, স্বাস্থ্যে ৪.০৬ শতাংশ এবং বিনোদনে ২.২০ শতাংশ বেড়েছে।