ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেসে একাধিকবার পরিষেবা বিভ্রাট ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পর্যালোচনা বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বৈঠকে তিনি সমস্ত অংশীদারদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে পরিকাঠামোগত ঘাটতি দূর করে ভবিষ্যতে পরিষেবায় কোনও সমস্যা না ঘটে। লক্ষ্য, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দৈনিক এক বিলিয়ন ইউপিআই লেনদেন নিশ্চিত করা।
গত ১২ এপ্রিল ইউপিআই-এ বড়সড় বিভ্রাট ঘটেছিল। গত দুই সপ্তাহে এটি ছিল তৃতীয়বারের মতো। আগের বিভ্রাটগুলি হয়েছিল মার্চ ২৬ ও ২ এপ্রিলে। এসব ঘটনার পর সারা দেশজুড়ে বহু ব্যবহারকারী লেনদেন সমস্যার মুখোমুখি হন।
বৈঠকে অর্থসচিব অজয় সেঠ, আর্থিক পরিষেবা সচিব এম. নাগরাজু, এবং এনপিসিআই-র এমডি ও সিইও দিলীপ আসবে-সহ অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, দেশের আরও বেশি ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীকে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউপিআই পরিকাঠামোর দৃঢ়তা, সম্প্রসারণ যোগ্যতা এবং রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা উন্নত করা, যাতে পরিষেবা নির্বিঘ্ন থাকে এবং ব্যবহারকারীদের আস্থা বজায় থাকে। এনপিসিআই জানিয়েছে, ২০২১-২২ থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৬ কোটি নতুন ব্যবহারকারী ও ৫.৫ কোটি নতুন ব্যবসায়ী ইউপিআই-তে যুক্ত হয়েছেন, ফলে বার্ষিক ৪৫ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী হয়েছে।
এদিকে, ফ্লিপকার্ট-সমর্থিত সুপার.মানি, নাভি, ভীম এবং ক্রেড-এর মতো একাধিক নতুন ইউপিআই অ্যাপ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই নতুন অ্যাপগুলি আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক ও নানা ইনসেনটিভ দিয়ে ব্যবহারকারীদের টানছে।
এনপিসিআই জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চে এই নতুন অ্যাপগুলির সম্মিলিত বাজার শেয়ার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ শতাংশে, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ২.৩ শতাংশ থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে—যেখানে এক বছর আগে তাদের প্রায় কোনো অংশীদারিত্বই ছিল না। তবে এখনো ফোনে-পে ও গুগল পে মিলে ৮২ শতাংশ বাজার দখল করে রেখেছে।