গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাইবার-নিরাপত্তায় নজর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

cooperative bank

বাংলাbiz ডেস্ক: গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাইবার নিরাপত্তা কাঠামোয় নজর দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)। গত সপ্তাহে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরবিআইয়ের হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোকসভায় একটি বিল পাশ হয়। তার পড়েই আরবিআইয়ের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

দেশের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির ক্রমাবনতি হয়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার লোকসভায় পাশ হয় ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন (সংশোধনী) বিল ২০২০। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআইয়ের নিয়মকানুনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আরবিআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন অংশীদারের মতামত যাচাই করে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাইবার-নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কৌশলভিত্তিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই নিরাপত্তা কাঠামোয় পাঁচটি স্তরের কৌশলগত পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তদারকি, প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য বিনিয়োগ, যথোপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ ও শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, সাইবার নিরাপত্তার দক্ষতা নির্ধারণ – এই পাঁচটি স্তম্ভকে একত্রে বলা হচ্ছে গার্ড (GUARD)।

সময়ের সঙ্গেই সমবায় ব্যাঙ্কগুলিও ধীরে ধীরে মূল ধারার পেমেন্ট সিস্টেমের উপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। কিন্তু সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাইবার-নিরাপত্তার লিঙ্কগুলিকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ, শক্তিশালী সাইবার-নিরাপত্তা গড়ে তোলার মতো প্রয়োজনীয় আর্থিক বিনিয়োগ করার অবস্থানে নেই ব্যাঙ্কগুলি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালে পুনের কসমস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে বৃহত্তম সাইবার-প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। হ্যাকাররা ব্যাঙ্কের সার্ভারে ম্যালওয়্যার হানা দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ কোটির বেশি টাকা ‘হাওয়া’ করে দেয়।

আরবিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাইবার-নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যয়ের দিকটিও মাথার রাখতে হবে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে। গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলি এ ব্যাপারে একটি সংরক্ষিত তহবিল গড়তে পারে। সাইবার-নিরাপত্তা মজবুত করতে ওই তহবিল থেকেই অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পারে। কোনো সমবায় ব্যাঙ্কের বার্ষিক লাভের একটি অংশ দিয়েই ওই তহবিল গড়া যেতে পারে।

বাংলাbiz-এ আরও পড়তে পারেন

মাত্র ৬ দিনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লোকসান ১১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.