বিবি ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের বেশ ক’জন ঠিকা কর্মীকে প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) ও এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনশিয়োরেন্স (ইএসআই) (ESI) প্রকল্পের আওতায় আনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ফলে ওই বিভাগের পাম্প অপারেটর এবং ভাল্ভ অপারেটরেরা উপকৃত হবেন। এ ব্যাপারে রাজ্য সম্প্রতি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে সমস্ত ঠিকাদার সংস্থা সরকারি বরাত নিয়ে কাজ করে, তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে পিএফ (PF) ও ইএসআইয়ে (ESI) নথিভুক্ত হতে হবে। দরপত্রের ফর্মের সঙ্গেই দিতে হবে দুই প্রকল্পে নথিভুক্তির সার্টিফিকেট। অন্যথা তারা বরাত পাবে না।
কী দাবি
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) আওতায় আনার দাবি তুলল ট্রেড ইউনিয়নগুলির একাংশ। সম্প্রতি প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষের আঞ্চলিক কমিটির সভায় প্রস্তাবটি তোলে তারা। ট্রেড ইউনিয়ন সূত্রের দাবি, সভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শ্রমসচিব বরুণকুমার রায় তা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এ ধরনের পদক্ষেপের আর্থিক চাপ বিপুল।
নিয়ম ও বাস্তব ছবি
• স্থায়ী কর্মীদের পাশাপাশি সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীকেও পিএফের সুবিধা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
• কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের আওতায় থাকা বহু চুক্তিভিত্তিক কর্মীই এই সামাজিক সুরক্ষা পান না।
• পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রিন পুলিশ, প্যারাটিচার-সহ অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা বিপুল। তাঁদের বড় অংশ পিএফের বাইরে।
• সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরে কর্মরত পাম্প অপারেটর ও ভাল্ভ অপারেটরদের পিএফে আনা হয়েছে। নির্দেশ, সরকারি বরাত নিয়ে কাজ করা ঠিকাদার সংস্থাকে পিএফ (PF), ইএসআইয়ে (ESI) নথিভুক্ত থাকতে হবে।
• বিহারে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের পিএফের আওতায় আনা হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী করা ও পিএফে আনতে পদক্ষেপ করেছে ওড়িশা।
কী অবস্থা অন্য রাজ্যের
ইপিএফও সূত্রের খবর, পূর্বাঞ্চলে ওড়িশা ও বিহারে ইতিমধ্যেই বহু চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীকে পিএফে আনা হয়েছে। বিহারে ৩.৫৮ লক্ষ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক পিএফের সুবিধা পাচ্ছেন। ওড়িশায় সম্প্রতি ৫৭,০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে স্থায়ী করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। ফলে ভবিষ্যনিধি প্রকল্পে আসবেন তাঁরাও। এর জন্য ওড়িশার বার্ষিক খরচ বাড়তে চলেছে ১৩০০ কোটি টাকা।
কী বলছে সরকার
দাবি সম্পর্কে শ্রমসচিব বলেন, ‘‘প্রস্তাবটি খুবই ভাল। তবে এর সঙ্গে শ্রম দফতর ছাড়াও আরও কিছু দফতর জড়িত। আমরা তাদের কাছে প্রস্তাবটির ব্যাপারে চিঠি লিখেছি। সেটি এখন রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন।’’
আরও পড়ুন: মেলেনি নতুন বরাত, পড়ে আছে ২০০০ কোটির পণ্য, ধাক্কা খেল চামড়ার পণ্য রফতানি