কালীপুজোর পর কমবে আলুর দাম, আশাবাদী বিক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিনিধি : মূল্যবৃদ্ধির ফাঁসে দিনদিন চওড়া হচ্ছে ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ৷ পেঁয়াজের অস্বাভাবিক বাজারদর সামাল দিতে না দিতেই আলুর দাম দেখে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। পাইকারি বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দর কেজি প্রতি ২২-২৪ টাকা। জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ১৬-১৭ টাকা। এভাবে  কেজি প্রতি ২-৩ টাকা করে দাম বেড়েছে আলুর।

বেহালা সখেরবাজারের এক প্রবীণ বিক্রেতা বলেন, ‘বস্তাপ্রতি আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা দাম বাড়তে বাধ্য হচ্ছেন৷ আগে সরাসরি কৃষকদের ঘরে থেকে বাজারে আলু আসত এবং বেশ কিছু আলু পচে নষ্টও হত৷ যার প্রভাব পড়ত দামে৷ কিন্তু, এখন সরাসরি হিমঘর থেকে আলু আসে। তাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও দাম বাড়ছে।’ তাই দাম বাড়ার এই কারণ নিয়ে  ধোঁয়াশা রয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যেই।

তবে নতুন আলু বাজারে না ওঠা পর্যন্ত আলুর দাম কমবে না বলেই মত বিক্রেতাদের একাংশের।

অন্য দিকে, লেক মার্কেটের ব্যবসায়ী দীনেশ সরকার বলেন, ‘এই সময়টা প্রত্যেক বছরই দাম বাড়ে আলুর। উৎসবের সময় শ্রমিকরা ছুটিতে যাওয়ার কারণে হিমঘর বন্ধ থাকে। তাই বাজারে আলুর জোগান কমে যায়।’  কালীপুজোর পর হিমঘর খুললে আবার যোগান বাড়বে এবং তখন দামও কমবে বলে তিনি আশাবাদী। একই মর্মে আশাবাদী টাস্কফোর্সের সদস্যরাও ৷

এদিকে, সামনেই কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা। প্রত্যেক হেঁসেলেই আলুর চাহিদা বাড়বে। কিন্তু, আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কায় বাজারের খুচরো ব্যাবসায়ী থেকে ক্রেতা সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। সে কারণে রাজ্যের বিভিন্ন আলু ব্যবসায়ী সমিতির তরফে এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। যদিও, সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা কেজি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ। পুজোর আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ এরপর জোগান বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমতে থাকে পেঁয়াজের। খুচরো বাজারেও এখন ৬০-৭০ থেকে কমে ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ মিলছে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.