বাজারে অস্থিরতা! ১৮৪টি শেয়ার এক বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায়, সেনসেক্স কমল ১৬৮ পয়েন্ট

Bombay Stock Exchange

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিএসই-তে একদিকে যেখানে ১৮৪টি শেয়ার এক বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে, অন্যদিকে ইকুইটি বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স তীব্র পতনের মুখোমুখি হয়েছে। এদিনের ট্রেডিংয়ে ইনফোসিস, ডিভিস ল্যাবস, সিপ্লা, নাউক্রি এবং ট্রেন্টের মতো শেয়ারগুলো ব্যাপক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

সেনসেক্স ১৬৮ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে ৮১,৪৬৭.১০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে, যখন নিফটি ৫০ সূচকও ৩১ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমে ২৪,৯৮১.৯৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পতনের প্রধান কারণ ছিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইটিসি এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মতো কিছু বৃহৎ শেয়ারে মুনাফা তোলার প্রবণতা।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ৬.৫০ শতাংশ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি নীতির অবস্থান ‘নিরপেক্ষ’ হিসেবে পরিবর্তন করেছে, যা বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তটি বাজারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে এবং কিছু বিনিয়োগকারী সতর্ক হয়ে পড়েছে।

তবে, সেনসেক্সের পতনের মাঝেও মিড ও স্মল ক্যাপ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিএসই মিডক্যাপ সূচক ১.০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১,৯৬৩.৫০ পয়েন্টে এবং স্মল ক্যাপ সূচক ১.২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮,৭০২.১৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এই সেক্টরের শক্তিশালী কর্মক্ষমতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদী মনোভাব তৈরি করেছে।

মোট বাজার মূলধন ৪৫৯.৫ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে ৪৬২.২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, ফলে একদিনে বিনিয়োগকারীদের মোট সম্পদ বেড়ে প্রায় ২.৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। এই অবস্থায়, কিছু বিনিয়োগকারী লাভবান হলেও, অন্যদিকে কিছু স্টক সেল অফের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

সেনসেক্সের ৩০টি শেয়ারের মধ্যে ১৫টি পতনের মুখোমুখি হয়েছে। আইটিসি, নেসলে এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভার শীর্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই অস্থির বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এছাড়া, ট্রেডিং চলাকালীন যেসব শেয়ার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, তাদের মধ্যে বোশ, কোফর্গ, ডিক্সন টেকনোলজিস, ইপকা ল্যাবরেটরিজ, পেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, পলিক্যাব ইন্ডিয়া, টরেন্ট ফার্মা এবং টরেন্ট পাওয়ার উল্লেখযোগ্য।

বাজারের এই অস্থির পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বাজারের চলতি প্রবণতা লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন। এতে তাঁরা সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.