দিওয়ালিতে আলোকিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে Tata Capital থেকে Mahindra Finance

bond

বিশাল গুপ্ত: বড়ো অঙ্কের খুচরো বন্ড বিক্রির জোরালো প্রস্তুতি চালাচ্ছে নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানিগুলি (এনবিএফসি)। প্রায় হাফ ডজনেরও বেশি ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফসি আগামী দিওয়ালির আগেই বাজারে আনুমানিক ২৫,০০০ কোটি টাকার খুচরো বন্ড ছাড়তে পারে।

এমন প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে টাটা ক্যাপিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন কর্পোরেশন (আরইসি), আদিত্য বিড়লা ফিনান্স (এবিএফএল), টাটা হাউজিং ফিনান্স, মাহিন্দ্র ফিনান্স, আইআইএফএল ফিনান্স এবং জেএম ফিনান্সিয়ালের মতো হাফ অর্ধ ডজনেরও বেশি এনবিএফসি। খুচরো বন্ড বিক্রি করে ২৫,০০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাগুলি। ধারণা করা হচ্ছে, বর্ষার স্যাঁতসেতে মরশুম কাটার পর আগামী উৎসবেই তারা এই পরিমাণ বন্ড বাজারে ছাড়তে পারে।

কে কত টাকার বন্ড ছাড়তে পারে?

জানা যাচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণ আনুমানিক অর্থের একটা বড়ো অংশের বন্ড ছাড়তে চলেছে টাটা গোষ্ঠীর কয়েকটি সংস্থা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে তারা বাজার থেকে ৩,০০০-৪,০০০ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্য পূরণ করতে পার এবং টাটা হাউজিং ফিনান্স ৫,০০০ কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে টাকা তুলতে পারে।

কতকটা সম পরিমাণ আর্থিক মূল্যের বন্ড ছাড়তে পারে আদিত্য বিড়লা ফিনান্স। পিছিয়ে নেই রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন কর্পোরেশনও। তারা ইতিমধ্যেই সাতটি দেশীয় ব্যবস্থাপককে নিয়োগ করেছে। কর্পোরেশন ৫,০০০ কোটি ১০,০০০ কোটি টাকা উপার্জনের জন্য তারা পরিকল্পনামূলক পাবলিক ইস্যু চালু করার তোড়জোড় চালাচ্ছে। এর আগেও সংস্থা প্রাথমিক পাবলিক অফারের মাধ্যমে কর-মুক্ত বন্ডগুলি বিক্রি করেছিল।

 আইআইএফএল ফিনান্স এবং জেএম ফিনান্সিয়াল ১০০-৩০০ কোটি টাকার ছোটো বেস আকারের বন্ড ইস্যু করতে পারে। মোট পরিমাণ এক হাজার কোটি অথবা ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত তারা বাড়তে পারে। ইন্ডিয়াবুলস কনজিউমার ফিনান্সও এ জাতীয় বন্ড বিক্রি করতে পারে বলে ধারণা।

তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি এখনও সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেনি। কিন্তু ডিলারদের ধারণা, এই ধরনের প্রস্তাবিত বন্ডগুলি আগস্টের শুরু থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে। যেগুলির ম্যাচুরিটির মেয়াদ নির্ধারিত হতে পারে তিন-পাঁচ-সাত বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে আরইসি, টাটা এবং মাহিন্দ্রা-সহ শীর্ষস্থানীয় রেটিং সংস্থাগুলি ৮ শতাংশ দিতে পারে।

মূলধন সংকট কাটিয়ে উঠতেই এ ধরনের বন্ড নিয়ে আসার মূল কারণ হিসাবে বিবেচ্য হচ্ছে। সেই জায়গায় এই ধরনের বন্ডগুলির সুরক্ষা এবং লিক্যুইডিটির পাশাপাশি উচ্চতর সুদের হারের সঙ্গে গ্রাহকের জন্য আকর্ষণীয় বিকল্পগুলির সমাহারও রাখতে চলেছে সংস্থাগুলি।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.