শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, আপনি কী করবেন?

টানা তিন দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পতনের মুখে পড়ে শেয়ার বাজারের দুই মূল সূচক সেনসেক্স ও নিফটি। ৩০-শেয়ার বিশিষ্ট বিএসই সেনসেক্স ৪২৩.৪৯ পয়েন্ট কমে ৭৬,৬১৯.৩৩-এ বন্ধ হয়, আর এনএসই নিফটি ৫০ সূচক ১০৮.৬০ পয়েন্ট কমে ২৩,২০৩.২০-এ স্থির হয়।

বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে—মেটাল ও এনার্জি খাতে ভালো বৃদ্ধি হলেও, দুর্বল আয় ঘোষণার কারণে আইটি শেয়ারগুলি বড় পতনের মুখে পড়ে। এছাড়া, রিয়েল এস্টেট ও এফএমসিজি শেয়ারেও দরপতন হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের সতর্ক প্রবণতা আগামী সপ্তাহেও বজায় থাকতে পারে। বিশেষ করে, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, এইচডিএফসি ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক, বিপিসিএল এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থাগুলোর আয়-ব্যায়ের ঘোষণা বাজারকে প্রভাবিত করবে।

এছাড়া, সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণও বিনিয়োগকারীদের নজরে থাকবে।

সেনসেক্স পূর্বাভাস:

বাজার গত সপ্তাহে ৭৬,২০০/২৩,০৫০-এর কাছাকাছি সাপোর্ট পেয়েছিল এবং সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও উচ্চস্তরে লাভ তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের, দৈনিক ও ইন্ট্রাডে চার্টে বাজার এখনও নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে, যা আরও দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তবে, বাজার বর্তমান স্তরে অতিরিক্ত বিক্রির অবস্থায় থাকায়, স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্তরভিত্তিক ট্রেডিং কৌশল গ্রহণ করাই ভালো।

রেজিস্ট্যান্ট স্তর:

সেনসেক্সে ৭৬,৯০০ স্তরটি মূল রেজিস্ট্যান্ট স্তর হিসেবে কাজ করবে। এই স্তরের ওপরে গেলে, বাজার ৭৭,৫০০ থেকে ৭৭,৮০০ বা ২০-দিনের সরল গড় চলমান (SMA) পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।

সাপোর্ট স্তর:

সেনসেক্সে ৭৬,৩০০ স্তরটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট হিসেবে থাকবে। এই স্তরের নিচে নেমে গেলে, বাজার ৭৬,০০০-এ পৌঁছতে পারে এবং আরও দুর্বল হলে ৭৫,৭০০ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.