বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতীয় শেয়ারবাজারে বড়সড় পতন দেখা গেল। সেনসেক্স ১,১৯০ পয়েন্ট বা ১.৫ শতাংশ কমে ৭৯,০৪৪-এ এবং নিফটি ৩৬১ পয়েন্ট কমে ২৩,৯১৪-এ বন্ধ হয়েছে। মাসিক ডেরিভেটিভস মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই মুনাফা তোলার প্রবণতা, দুর্বল বৈশ্বিক সংকেত এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতি নিয়ে উদ্বেগ বাজারে এই পতনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন পড়ল বাজার:
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি ও ফেড নীতি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Core PCE মূল্য সূচক অক্টোবরে ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আপাতত সুদের হার কমানোর পথে যাবে না। এর ফলে, মার্কিন অর্থনীতির উচ্চ সুদের হারের কারণে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলির ক্লায়েন্ট ব্যয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আইটি ও অটো সেক্টরে পতন
নিফটি আইটি সূচক ২.৪ শতাংশ কমেছে। ইনফোসিস (-৩.৫%), টিসিএস (-১.৮%) এবং এইচসিএল টেক (-২.৫%) উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অটোমোবাইল সেক্টরেও ১.৬ শতাংশের পতন হয়, যেখানে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা (-৩.৪%) অন্যতম বড় ক্ষতিগ্রস্ত।
এশিয়ান বাজারের প্রভাব
চিনা শেয়ারবাজারেও বড় পতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বেজিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি বৈঠকের আগে সতর্ক ছিলেন এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক উদ্দীপনা না পাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে উদীয়মান বাজারগুলিতে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশগুলিতে, বিনিয়োগের প্রবাহ কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে সুদের হারের গতি মন্থর থাকবে। এই অবস্থায় বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবারের এই ধসের ফলে বিএসই তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির সম্মিলিত বাজার মূলধন প্রায় ২.৭ লাখ কোটি টাকা কমেছে। তবে, বাজারের চওড়া অবস্থান ইতিবাচক ছিল। ২,১৫৬টি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ১,৬৩২টি শেয়ার কমেছে।