বিবি ডেস্ক: সমীক্ষা বলছে রাজ্যের পাঁচ টাকা আয় হলে এক টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র পুরনো ঋণের সুদ মেটাতে। সেই রাজ্যই এ বার আরও ঋণ নিতে আইন সংশোধনের পথে হাঁটতে চলেছে। সরকারের দাবি এর ফলে রাজ্যের ভালই হবে। যদিও বিরোধীদের দাবি, এর ফলে দেনার জালে আরও জড়িয়ে পড়ে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে রাজ্য।
কিসের লক্ষ্যে বিল
সূত্রের খবর, বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই আসছে আর্থিক শৃঙ্খলা ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ (এফআরবিএম) (FRBM) আইনের সংশোধনী বিল। এই বিল পাশ হলে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিএসডিপি) (GSDP) চার শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে সরকার। সরকারের যুক্তি, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (Pay Commission) সুপারিশ এবং তার পরে কেন্দ্রের আরও একটি অনুমোদনের দৌলতে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই আনা হচ্ছে বিল।
কী পরিকল্পনা
বিধানসভায় ২০ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২’ নিয়ে দু’ঘণ্টা আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকার পক্ষের। ২০১০ সালের এফআরবিএম আইনে জিএসডিপি-র ৩% পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যেত এত দিন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষের (২০২২-২৩) জন্য ওই সীমা বেড়ে হয়েছে ৩.৫%। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগের কাছে দরবার করে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কাজের সুবাদে রাজ্য আরও ০.৫% বাড়তি ঋণ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা হচ্ছে এই অর্থবর্ষের জন্যই।
কী বলছেন বিরোধীরা
রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস। প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, আগে ঋণ নিয়ে বেহিসেবি খরচ করছে রাজ্য। বাড়তি পেলে তার অন্যথা হবে না। তবে অর্থ কমিশন ও কেন্দ্রের অনুমোদনের যুক্তি রাজ্যের হাতে থাকায় বিজেপির পক্ষে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার বিড়ম্বনা আছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ঋণ অ্যাপ থেকে টাকা ধার নেওয়ার আগে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জেনে নিন