২০২০ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় বিক্রি কমেছিল সোনার। ২০১৯ সালের তুলনায় যা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
বিবি ডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন প্রতিবছরই সারা দেশে সোনার গয়নার বিক্রিবাট্টা ভালোই হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জেরে লকডাউনের কারণে এই নির্দিষ্ট উৎসবের দিনে সোনার গয়নার বিক্রি হ্রাস পেয়েছিল গত ২০২০ সালে। এ বারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya 2021) সোনা কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এর বিক্রি বাড়ে নির্দিষ্ট এই দিনে। এ বছরের ১৪ মে অক্ষয় তৃতীয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বারেও সোনার গয়নার বিক্রি বাড়বে না বলেই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক জায়গায় চলছে লকডাউন। আবার যেখানে আংশিক লকডাউন বা কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি জারি হয়েছে, সেখানেও দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে সোনার দোকান খোলার অনুমতি মিলেছে। সব থেকে বড়ো কথা, করোনার কারণে সে ভাবে আর ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন না দোকানে।
গত বছর (২০২০) অক্ষয় তৃতীয়ার সময়েও সোনার বিক্রি বেশ কম ছিল। কারণ তখনও করোনার কারণে লকডাউন এবং অন্য়ান্য বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল দেশ।
গত বছর হ্রাস পেয়েছিল ৭০ শতাংশ
গত ২০২০ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনার গয়নার বিক্রি ২০১৯ সালের এই দিনটির তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যায়। এ বারেও একই ধরনের পরিস্থিতি রয়েছে। সোনার দোকানে বিক্রি আর অনলাইনে বিক্রির মধ্যে অনেক তফাত। মুম্বই এবং দিল্লির মতো শহরে লকডাউন থাকায় সোনার বাজারে মন্দা চলছে।
স্বর্ণ শিল্পে সংকট
বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকান বন্ধ থাকার ফলে কর্মসংস্থানের উপর প্রভাব পড়তে চলেছে। কারণ দোকানগুলিতে একটা বড়ো অংশের বিক্রয় প্রতিনিধির কর্মসংস্থান হয়। এর বাইরে গয়না শিল্পে প্রশিক্ষিত ও আধা প্রশিক্ষিত কারিগরদেরও কাজের সুযোগ মেলে। এর ফলে রফতানিতে প্রভাব পড়েছে। কিছু বড়ো স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংস্থা ডিজিটাল বিপণনে জোর দিচ্ছে। কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের তুলনায় দোকান থেকে অনেক বেশি সোনার গয়না কেনাবেচা হয়।
আরও পড়তে পারেন: সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ চারগুণ বেড়েছে, আপনারও কি বিনিয়োগ করা উচিত?