ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় কমেই চলেছে বিক্রি, কেন্দ্র তবু বলছে অর্থনীতির অবস্থা বেশ ভালো

বিবি ডেস্ক: কেন্দ্রের সংস্কারমুখী পদক্ষেপে দেশের আর্থিক পুনরুজ্জীবন ঘটেছে— কেন্দ্রের এক আমলার এমন দাবির ঠিক পরেই প্রকাশ্যে এল এক সমীক্ষার রিপোর্ট। যে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে গত দেড় বছর ধরে দেশে ভোগ্যপণ্যে (Consumer Goods) দাম লাগাতার ১০ শতাংশ করে বেড়ে চলেছে। ফলে ক্রমশ কমছে বিক্রি। ক্রেতারা কম কেনায় ধাক্কা খাচ্ছে উৎপাদন, যা অর্থনীতির শক্তিশালী ছবি তুলে ধরছে না।

কী বলছে সমীক্ষা

সমীক্ষাটি বলছে, ক্রেতারা কম কিনছেন এমন সব জিনিস, যা চাহিদা বৃদ্ধির অন্যতম মাপকাঠি। সঙ্কটের কেন্দ্রে সেই গ্রামীণ বাজার। সিএমআইই-র (CMII) রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে বেকারত্বও সম্প্রতি ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর উপদেষ্টা সংস্থা নিয়েলসেন-আইকিউয়ের সমীক্ষা বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমার হার। সমীক্ষা অনুযায়ী, খরচ বাঁচাতে বহু ক্রেতা এখনও পণ্যের ছোট প্যাকেট কিনছেন। তবে তাতেও সাশ্রয় হচ্ছে কম। কারণ, অনেক ভোগ্যপণ্য সংস্থা (Consumer Goods) দাম এক রেখে প্যাকেট ছোট করেছে।

কেমন হয়েছে বিক্রি

এপ্রিল-জুনের চেয়ে জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি কমেছে ০.৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৩.৬ শতাংশ। আগের ত্রৈমাসিকে ছিল ২.৪ শতাংশ। তবে শহরাঞ্চলে খাবারের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে বিক্রি ১.২ শতাংশ বেড়েছে। নিয়েলসেন-আইকিউ (ইন্ডিয়া)-র এমডি সতীশ পিল্লাইয়ের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতও ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমিয়েছে। তবে পণ্যের দাম বাড়ায় এই শিল্পের আয় বেড়েছে ৮.৯ শতাংশ। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময়ের তুলনায়ও আয় ও বিক্রি, দু’টোই বেশি।

কেন্দ্রের দাবি

মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের (V. Anantha Nageswaran) দাবি, ৮-১০ বছরের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হবে। সেই ছবি দেখতে চান সকলেই। কিন্তু জল্পনা, প্রদীপের নীচে আঁধার কাটছে না।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপেও জানা যায় ক্রেডিট স্কোর, ঋণের আবেদন জানানোর আগে যাচাই করুন

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.