ভারতের প্রথম কোভিড-টিকা ‘কোভিশিল্ড’ বাজারে আসতে পারে ৭৩ দিনের মধ্যে

covishield

বাংলাbiz ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল কাউন্টডাউন। সব কিছু ভালো ভাবে চললে আর ৭৩ দিনের মধ্যেই ভারতের প্রথম কোভিড-টিকা ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield) বাজারে আসছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করা ওই টিকা জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি (National Immunisation Programme, NIP) অনুসারে ভারতীয়দের বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।

টিকাকরণ কর্মসূচি অনুসারে অন্যান্য টিকাও বিনা মূল্যেই ভারতীয়দের দেওয়া হবে।

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India, SII) এক শীর্ষ আধিকারিক বিজনেস টুডে-কে বলেন, “মানবদেহে পরীক্ষানিরীক্ষার (human trial) যত রকম বিধিনিয়ম আছে, সে সব ৫৮ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করার জন্য সরকার ‘ট্রায়াল প্রোটোকল’ অনেক দ্রুত সম্পন্ন করেছে এবং আমাদের ‘বিশেষ উৎপাদন অগ্রাধিকার লাইসেন্স’ (Special Manufacturing Priority Licence) দিয়েছে।”

ওই আধিকারিক বলেন, “সেই সূত্রেই আজ তৃতীয় তথা চূড়ান্ত ট্রায়ালে প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। ২৯ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ১৫ দিন পরে চূড়ান্ত ট্রায়াল থেকে পাওয়া উপাত্ত (Data) প্রকাশ করা হবে। ওই সময়ের মধ্যেই আমরা ‘কোভিশিল্ড’ বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছি।”

এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, তৃতীয় দফার ট্রায়াল অন্তত ৭-৮ মাস সময় লাগবে। দেশ জুড়ে ১৭টা কেন্দ্রে ২২ আগস্ট থেকে তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। মোট ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে এই ট্রায়াল চলছে।

তবে কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, “সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া পরিষ্কার ভাবে বলতে চায়, ‘কোভিশিল্ড’-এর প্রাপ্ততা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে এখন যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অনুমানমূলক।”

যদিও ওই সূত্র বিজনেসটুডে.ইনকে নিশ্চিত ভাবে বলেছেন, আইসিএমআর-এর (ICMR) নির্দেশিকা মেনেই সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে এবং সেই সূচিই মেনে চলা হবে। তবে চলতি পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে টিকার কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে অন্য কথা।

সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, “অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) টিকার তৃতীয় দফার পরীক্ষা চলছে। আর ওই টিকা যখন ফলপ্রদ এবং অনাক্রম্য বলে প্রমাণিত হবে, তখনই এসআইআই টিকার প্রাপ্ততা সুনিশ্চিত করে বলবে।”

ওই সূত্র বলেছে, ওই টিকা শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউটেরই হবে। কারণ ভারত ও আরও ৯২টি দেশে ওই টিকা বিক্রি করার অধিকার কিনে নিতে এবং সেই বাবদ রয়্যালটি ফি দিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেরাম।

সেরাম ইনস্টিটিউট বিবৃতিতে বলেছে, “এখন সরকার শুধু টিকা তৈরি করা এবং ভবিষ্যতের জন্য মজুত করার অনুমোদন মঞ্জুর করেছে। পরীক্ষানিরীক্ষা যখন সফল হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পাওয়া যাবে, তখনই ‘কোভিশিল্ড’ বাজারে আসবে।

কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই সেরামকে ঠারেঠোরে জানিয়েছে, তারা সরাসরি টিকা সংগ্রহ করবে এবং ভারতীয়দের ওই টিকা বিনা মূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে  আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ৬৮ কোটি ডোজ টিকা চেয়েছে কেন্দ্র।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.