সোমবার ভারতীয় শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। সপ্তাহখানেক স্থিতিশীল থাকার পর আবারও নিম্নমুখী হয়েছে সেনসেক্স এবং নিফটি। দুপুরে, সেনসেক্স ১,৩০৩.১৯ পয়েন্ট পড়ে ৭৮,৪২০.৯৩ স্তরে নেমে আসে এবং নিফটি ৪৩৭.১৫ পয়েন্ট পড়ে ২৩,৮৬৭.২০-তে লেনদেন করছিল। এর ফলে লগ্নিকারীরা প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন।
সকালেই সেনসেক্স তার আগের বন্ধ হাওয়া স্তর ৭৯,৭২৪.১২-এ খোলা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে ২ শতাংশ পতন ঘটে এবং সেটি ৭৮,২৩২.৬০ স্তরে নেমে আসে। নিফটি ২৪,৩১৫.৭৫ থেকে ২ শতাংশ কমে ২৩,৮১৬.১৫ স্তরে পৌঁছায়।
দিনের শেষে সেনসেক্স ৯৪২ পয়েন্ট, অর্থাৎ ১.১৮ শতাংশ কমে ৭৮,৭৮২.২৪-এ এবং নিফটি ৩০৯ পয়েন্ট, অর্থাৎ ১.২৭ শতাংশ কমে ২৩,৯৯৫.৩৫-এ লেনদেন শেষ করে।
ভারতীয় শেয়ারবাজারের এই পতনের ৫টি মূল কারণ:
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, যা ভারতীয় সুদের হারের উপরেও প্রভাব ফেলবে। নির্বাচন ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি সভা: ৭ নভেম্বর ফেডারেল রিজার্ভের সভা রয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সুদ কমার সম্ভাবনা থাকায় শেয়ারবাজারে উদ্বেগ বেড়েছে।
৩. দুর্বল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক ফলাফল: দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল হওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৫ অর্থবর্ষে নিফটি ইপিএস বৃদ্ধি ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে, যা বর্তমান উচ্চ মূল্যায়নের পক্ষে অনুকূল নয়।
৪. বিদেশি বিনিয়োগের অভাব: গত এক মাসে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বড় অঙ্কের অর্থ তুলে নিচ্ছেন এবং তা চীনের বাজারে বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে ভারতীয় বাজারে পতন হচ্ছে।
৫. তেলের মূল্যবৃদ্ধি: তেলের দাম সোমবার ১ ডলারের বেশি বেড়েছে। ওপেক+ তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা স্থগিত করেছে, যার প্রভাব ভারতীয় বাজারে পড়েছে। ব্রেন্ট ফিউচার ১.১৮ ডলার (১.৬১%) বেড়ে ৭৪.২৮ ডলার প্রতি ব্যারেল এবং WTI ১.২০ ডলার (১.৭৩%) বেড়ে ৭০.৬৯ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়েছে
।