ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই ভারত ও আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত আলোচনা চালাচ্ছে। উভয় পক্ষই এমন কিছু ক্ষেত্রে “প্রাথমিক সাফল্য” পেতে চাইছে, যা দু’দেশের কাছেই লাভজনক হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের এক সরকারি কর্তা।
গত সপ্তাহ থেকে দিল্লিতে দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়। আলোচনার বিষয় ছিল ডিজিটাল বাণিজ্য, শুল্কনীতি, প্রযুক্তিগত বাধা, বৃহত্তর বাজার প্রবেশাধিকার ইত্যাদি। উভয় পক্ষই খাদ্য নিরাপত্তা, উদ্ভিদ ও মানব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মানদণ্ড নিয়েও আলোচনা করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
জুলাই মাসের মধ্যে এই চুক্তির প্রথম পর্ব সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত ও আমেরিকা, কারণ ওই সময় থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের “পাল্টা শুল্ক” কার্যকর হতে পারে। এই শুল্কের আওতায় ভারতের রপ্তানি পণ্যের উপরে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য হতে পারে, যার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমেরিকায় আইনি লড়াই শুরু হয়েছে।
ফরাসি সংবাদপত্র ল্য ফিগারো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। অন্যদিকে, এই মাসের শুরুতে আমেরিকার বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি খুব শীঘ্রই হতে পারে বলে তিনি “খুবই আশাবাদী”।
গত মাসেই ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও লুটনিকের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। যা “গঠনমূলক” ছিল বলে জানিয়েছেন গয়াল।
পরের সপ্তাহে কানাডায় জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য সাক্ষাৎ বাণিজ্য আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বছর শুরুতেই ভারত আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল। মোদী সরকার হোয়াইট হাউসকে খুশি করতে বাণিজ্য থেকে অভিবাসন— বিভিন্ন ইস্যুতে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল।