টানা পঞ্চম সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে পতন, আগস্ট থেকে সর্বনিম্ন

টানা পঞ্চম সপ্তাহে হ্রাস পেল ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার। রিজার্ভের পরিমাণ ২.৬৭৫ বিলিয়ন ডলার কমে ৬৮২.১৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে নভেম্বরের ১ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে, এমনটাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সর্বোচ্চ স্তর ৭০৪.৮৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর থেকে এই পতন অব্যাহত রয়েছে, যা সম্ভবত রুপির সমর্থনে আরবিআইয়ের হস্তক্ষেপের ফলে হয়েছে।

সর্বোচ্চ স্তরের পর ক্রমাগত হ্রাস

সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ব্যাপক পতন দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে গত মাসে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার, ১০.৭ বিলিয়ন ডলার, ২.১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ৩.৪৬৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস ঘটেছে। বর্তমানে ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে মোট ৫৮৯.৮৪৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা এবং ৬৯.৭৫১ বিলিয়ন ডলারের সোনা রয়েছে, যা প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

রুপির স্থিতিশীলতায় আরবিআই-এর ভূমিকা

রুপির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আরবিআই দীর্ঘদিন ধরে বাজারে হস্তক্ষেপ করছে। যদিও তাদের নির্দিষ্ট কোনো বিনিময় হার লক্ষ্য নেই, তবে আরবিআই শক্তিশালী রুপির সময়ে ডলার ক্রয় করে এবং দুর্বল রুপির সময় ডলার বিক্রি করে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। এই পদক্ষেপের ফলে রুপির ওঠানামা কমেছে এবং এটি এশিয়ার অন্যতম স্থিতিশীল মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে এটি ভারতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণও বৃদ্ধি করেছে।

বলে রাখা ভালো, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে, যা আন্তর্জাতিক লেনদেন, আমদানি ব্যয় মেটানো এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত বিদেশি মুদ্রা, সোনা, বিশেষ অধিকার (SDR) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিজার্ভ পজিশন নিয়ে গঠিত।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.