খবর
প্রতিরক্ষা মজবুত করতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ ভারতের
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ কিনবে ভারত।

বিবি ডেস্ক : সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিক এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কেন্দ্র ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ কিনবে ভারত।
জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনের জন্য এই মেগা পরিকল্পনা তৈরি করেছে সরকার।
অগ্রাধিকারে রয়েছে ভারতীয় সেনার ২৬০০ কমব্যাট ফোর্স গাড়ির আধুনিকীকরণ এবং যুদ্ধে ব্যবহারে উপযুক্ত ১৭০০ নতুন কমব্যাট ফোর্স গাড়ি। আইএএফের জন্য ১১০ টি ফাইটার যুদ্ধবিমান কেনাও কেন্দ্রের পরিকল্পনাও রয়েছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনী পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের জন্য চাপ দিচ্ছে, যাতে তারা উত্তর ও পশ্চিম উভয় সীমান্তে “দ্বি-সম্মুখ” যুদ্ধের যে সম্ভাবনা রয়েছে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।
পাশাপাশি, নৌবাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ৫০০ বিমান এবং ২৪টি আক্রমণকারী সাবমেরিনের কেনার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর।
সরকার আইএএফের সামগ্রিক যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বদ্ধপরিকর। এছাড়াও আন্তঃদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ অগ্নি-ভি কেও উদ্বোধন করা হবে। যা আকাশপথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে। ৫ হাজার কিমি স্ট্রাইক রেঞ্জ-সহ এই ক্ষেপনাস্ত্রটি পারমানোবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই এ নিয়ে মূল নীতিগত উদ্যোগ গৃহীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ব্যবসায় মন্দা, কেন্দ্রের দ্বারস্থ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা
খবর
চাহিদা বাড়ায় দু’বছরে এই প্রথম লাভের মুখ দেখল টাটা মোটরস, আয় বাড়ল ২৩ শতাংশ
২০২২-২৩ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যায়ের খতিয়ান পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা।

করোনা মহামারিতে মার খেয়েছিল গাড়ি বাজার। ধীরে ধীরে বেড়েছে চাহিদা। যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি মাঝারি এবং ভারী বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে নির্মাতা টাটা মোটরস (Tata Motors) শেষ ত্রৈমাসিকে উল্লেখযোগ্য লাভের মুখ দেখেছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আয়-ব্যায়ের খতিয়ান পেশ করে এমনটাই জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা।
ডিসেম্বরে শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকে টাটা মোটরসের একত্রিত নিট মুনাফার পরিমাণ ২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকার বেশি। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের একই সময়ে নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫১৬ কোটি। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চলতি আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৯৪৪ কোটি টাকার নিট লোকসানের কথা জানিয়েছিল সংস্থা।
এই সময়কালে সংস্থার অন্যতম গাড়ি জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার থেকে একত্রিত রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৪৮৮ কোটি। যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২২.৫ শতাংশ।
সংস্থার দাবি, উল্লেখযোগ্য হারে লাভ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা গাড়ির চাহিদা। স্টক এক্সচেঞ্জে পেশ করা রিপোর্টে সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়ে তারা যথেষ্ট আশাবাদী। লাভজনক বৃদ্ধি, সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের উন্নতি এবং স্থিতিশীল পণ্যের দামের উপর লক্ষ্য রাখছে সংস্থা।
আরও পড়ুন: সময়ের আগেই হোম লোন মেটাতে চান? জানুন দুর্দান্ত কিছু টিপস
খবর
কলকাতায় প্রথম শাখা খুলল ফিনকেয়ার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক
এই শাখা উদ্বোধনের সঙ্গেই ফিনকেয়ার পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করল।

কলকাতা: শহরে নিজের প্রথম শাখা উদ্বোধন করল ফিনকেয়ার স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক (Fincare Small Finance bank)। এই শাখা উদ্বোধনের সঙ্গেই ফিনকেয়ার পূর্ব ভারতে যাত্রা শুরু করল। আধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোত্তম-শ্রেণির পণ্য ও পরিষেবা এবং দক্ষ কর্মীদের সাহায্যে গ্রাহকের ব্যাঙ্কিং চাহিদা মেটাতে ব্যাঙ্ক প্রস্তুত।
নতুন শাখা খোলার বিষয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার রাজীব যাদব বলেন, “ফিনকেয়ার কলকাতার বাসিন্দাদের সেবা করতে পেরে রোমাঞ্চিত। ব্যাঙ্কের লক্ষ্য হল ব্যাঙ্কিং চাহিদার কথা মাথায় রেখে সুবিধা-ভিত্তিক সমাধানগুলি অফার করা৷ আমরা শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে গ্রাহকদের সম্পূর্ণ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সরবরাহ করার লক্ষ্য রাখি। কলকাতার এই শাখাটি উচ্চ সুদে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, সুইপ ইন- সুইট আউট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং কিউআর কোড সুবিধা, সোনার বিপরীতে ঋণ-সহ আরও অনেক পরিষেবা দেবে”।
যাদব আরও জানান, “গ্রাহকরা নিয়মিত ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিও ব্যাঙ্কিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন৷ এ ছাড়া ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI)-এর মাধ্যমেও লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্ক একটি “স্মার্ট ব্যাঙ্কিং” পদ্ধতি গ্রহণ করেছে যা এটিকে ভারত জুড়ে আধুনিক এবং সুবিধাজনক ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির একটি পছন্দের প্রদানকারী করে তুলেছে”।
২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের ১৯টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩২ লক্ষেরও বেশি গ্রাহককে পরিষেবা দিয়েছে ব্যাঙ্ক। ১২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন ফিনকেয়ারে।
আরও পড়ুন: অর্থবর্ষ প্রায় শেষ, আয়কর বাঁচানোর ব্রহ্মাস্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো?
খবর
কবে থেকে কমবে তেলের দাম? জানিয়ে দিলেন তেলমন্ত্রী
সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড নেমেছিল ৮০ ডলারেরও নীচে। প্রশ্ন ওঠে, সেই সুবিধা ভারতে পৌঁছচ্ছে না কেন?

গত আট মাস ধরে আইওসি (IOC), বিপিসিএল (BPCL) এবং এইচপিসিএল (HPCL) তেলের দাম স্থির রেখেছে। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রলের লিটার (Petrol Price) ১০৬.০৩ টাকা, ডিজ়েল (Diesel Price) ৯২.৭৬ টাকা। অথচ সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড (Brent Crude) নেমেছিল ৮০ ডলারেরও নীচে। প্রশ্ন ওঠে, সেই সুবিধা ভারতে পৌঁছচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri)। জানালেন, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পুরনো লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই পদক্ষেপ করবে।
কবে কমবে দাম
সংস্থাগুলির সঙ্গে এক সুরে পুরী বলেন, ব্রেন্ট চড়া থাকাকালীন মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ফলে বিপুল লোকসান হয়েছে সংস্থাগুলির। তাই অশোধিত তেলের দাম কমার সময় ক্ষতিপূরণ হচ্ছে। পরে আমদানির খরচ কমায় তারা পেট্রলে মুনাফায় ফিরলেও ডিজ়েলে ক্ষতি বহাল ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের যুক্তি, বিশ্ব বাজারে দাম হালে ফের ৮-৯ ডলার বেড়েছে। ফলে আরও বাড়লে দেশে তেলের দাম কমানো সুযোগ বন্ধ হবে কি না, সেই আশঙ্কা থাকছেই। তেল মহল সূত্রেরও দাবি, এক সময় পেট্রলের লিটারে (Petrol Price) ১০ টাকা লাভ হচ্ছিল। কিন্তু বর্ধিত দামে তা অর্ধেক হয়েছে। ডিজ়েলে (Diesel Price) লোকসান হচ্ছিল ১০-১১ টাকা। চলতি মাসের গোড়ায় হয়েছে ১৩ টাকা।
কী বলছেন বিরোধীরা
তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, দেশে তেলের দাম এখন কমে ভোটের সময়ের নিরিখে। সংশ্লিষ্ট মহল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত আগামী বছরই যেহেতু লোকসভা ভোট। চলতি বছরে বিধানসভা ভোট বেশ কিছু রাজ্যে। এ সবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
কী বলছেন মন্ত্রী
পুরী এ দিন বলেছেন, ‘‘আশা করব লোকসান বন্ধ হলেই দাম কমবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘‘আমরা ওদের (তেল সংস্থাগুলিকে) দাম স্থির রাখতে বলিনি। ওরা নিজেরাই তা করেছে।’’
পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে পেট্রলে লিটার পিছু ১৭.৪০ টাকা এবং ডিজ়েলে ২৭.৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছিল, যা নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন: পুরনো গাড়ি বাতিলে কর ছাড়, বাজেটের আগে বড়ো ঘোষণা কেন্দ্রের
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
ফিনান্স2 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
খবর5 months ago
মুনলাইটিং কী? এই পদ্ধতি নিয়ে কেন কর্মীদের সতর্ক করল ইনফোসিস
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন