দেশে আরও বাড়ল বেকারত্ব, সিএমআইই-র রিপোর্টে বাড়ল উদ্বেগও

unemployment

বিবি ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের (Unemployment) হার নেমেছিল চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে নীচে (৬.৪৩%)। কিন্তু গত মাস থেকে তা আবার মাথা তুলতে শুরু করেছে। সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)-র (CMIE) রিপোর্টের যে দিকটি উদ্বেগের তা হল, গত মাসের বেকারত্ব (Unemployment) বৃদ্ধির ছবিটা বজায় রয়েছে চলতি মাসের গোড়াতেও। আর তা ঊর্ধ্বমুখী। সেখানে জানানো হয়েছে, আলোচ্য সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ৬.৬৯ থেকে এক লাফে পৌঁছে গিয়েছে ৮.৪২ শতাংশে। শহরে সেই হার বাড়লেও তা তুলনায় কম। ৭.৩৯ শতাংশ থেকে হয়েছে ৭.৮৭ শতাংশ। কিন্তু গ্রামে তা ৬.৩৭ শতাংশ থেকে হয়েছে ৮.৬৮ শতাংশ। অর্থাৎ, বেড়েছে ২ শতাংশেরও বেশি।

কী বলছে রিপোর্ট

সিএমআইই-র রিপোর্ট (CMIE) বলছে, গত মাসে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি, কাজের বাজারে অংশগ্রহণের হারও কমেছে। এই দু’টি ঘটনা একসঙ্গে ঘটার অর্থ সরাসরি কাজ কমে যাওয়া। সমীক্ষকদের হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবরে সারা দেশে ৭৮ লক্ষ কাজ কমেছিল। কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছিল ৫৬ লক্ষ। আর প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ কাজের বাজার থেকেই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। ঠিক যে ঘটনা ঘটে কাজের বাজারে পা রাখা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত চাকরি না থাকলে। ফলে সব মিলিয়ে কাজ খোঁজা মানুষের সংখ্যাও ৪৩.২ কোটি থেকে কমে হয়েছিল ৪২.৯৮ কোটি। এই নিট হ্রাস প্রায় পুরোটাই গ্রামাঞ্চলে। যেখানে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষের সংখ্যা অনেকটা বেশি। তবে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, গত এক বছরে বারবার কৃষি ক্ষেত্রে কাজ কমলেও হালে ঘটেছে ঠিক উল্টো। বিপুল কর্মসংস্থান কমেছে পরিষেবা ক্ষেত্রে। বিশেষ করে গ্রামীণ খুচরো ব্যবসায়। যে প্রবণতা বজায় রয়েছে নভেম্বরের গোড়াতেও।

কী বলেছিল এনএসও রিপোর্ট

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (এনএসও) (NSO) ফাঁস হওয়া রিপোর্টে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে দেশের বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৬.১ শতাংশে। যা চার দশকের সর্বোচ্চ। সেই সময়ে বিষয়টি অস্বীকার করলেও নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মোদী সরকার রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তার পর থেকে বেকারত্ব (Unemployment) বা কাজের বাজারের পূর্ণাঙ্গ কোনও পরিসংখ্যান সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সিএমআইই-র (CMIE) পরিসংখ্যানকে মর্যাদা দিলে বলতে হয়, বেকারত্বের (Unemployment) হার এখন সেই সময়ের চেয়েও বেশি।

আরও পড়ুন: ভারতে ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই টুইটারের, জানুন এখনও পর্যন্ত বিতাড়িত করা হল কতজনকে

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.