সম্প্রতি, আয়কর বিভাগ বহু করদাতাকে ‘ডিফেক্টিভ রিটার্ন’ নোটিস পাঠিয়েছিল, যা পরে ভুল প্রমাণিত হয়। বিশেষজ্ঞরা আয়কর বিভাগের এই স্বীকারোক্তিকে প্রশংসনীয় মনে করছেন। তবে আয়কর বিভাগের এই ভুল করদাতাদের জন্য উদ্বেগের কারণও। নোটিসের জবাব দিতে গিয়ে অনেক করদাতা হয়তো সংশোধিত আইটিআর দাখিল করেছেন, যা তাঁদের আসল আইটিআর-এর জায়গায় প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচিত হতে পারে।
গত ২৯ নভেম্বর আয়কর বিভাগ ‘ডিফেক্টিভ রিটার্ন’ নোটিস পাঠায়। এটি মূলত ধারা ৪৪এডি-এর অধীনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল থাকার কারণে করা হয়ে থাকে। তবে, ৫ ডিসেম্বর আয়কর বিভাগ জানায়, “ওই নোটিসটি ভুল করে পাঠানো হয়েছে এবং এটি উপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচনা করা হবে।”
ধারা ৪৪এডি এবং করদাতাদের প্রভাব
ধারা ৪৪এডি অনুযায়ী, যেসব ব্যবসার মোট লেনদেন বা টার্নওভার ২ কোটি টাকার মধ্যে, তারা প্রিজাম্পটিভ ট্যাক্সেশন স্কিমের অধীনে রিটার্ন দাখিল করতে পারে। এর আওতায়, করদাতারা মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ বা ৮ শতাংশ আয় হিসাবে ঘোষণা করেন এবং ব্যালেন্স শিট বা লাভ-ক্ষতির বিবরণী দাখিল করতে হয় না।
কিন্তু অনেক করদাতার ক্ষেত্রে, যাঁদের টার্নওভার ২ কোটির বেশি নয়, তাঁদেরও এই ভুল নোটিস পাঠানো হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভুল করদাতাদের বিভ্রান্ত করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তারা তাড়াহুড়ো করে সংশোধিত আইটিআর দাখিল করেছেন।
সংশোধিত আইটিআর দাখিলের জটিলতা
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী আসল আইটিআর-এর পরিবর্তে সংশোধিত আইটিআর প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচিত হয়। তবে, যেহেতু এই ভুল নোটিসকে ঘিরে সংশোধিত আইটিআর দাখিল করা হয়েছে, তাই করদাতাদের আসল আইটিআর প্রক্রিয়াকরণে সমস্যা হতে পারে।
এই ঘটনায় আয়কর বিভাগের ভুল স্বীকার করাকে ইতিবাচক মনে করা হলেও, এর ফলে তৈরি হওয়া জটিলতা করদাতাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে করদাতাদের আরও সচেতন হতে হবে।