মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার মাঝে দু’দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী অপরিশোধিত তেলের দাম, ভারতের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে চলা উত্তেজনার জেরে অপরিশোধিত তেলের দাম টানা দ্বিতীয় দিন ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছায়, আর ডব্লিউটিআই ক্রুড ৭৪ ডলারের গণ্ডি অতিক্রম করে। ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বিশ্ববিখ্যাত স্ট্রেইট অফ হরমুজ বন্ধ করে দিতে পারে, যা বিশ্ব তেল সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট।

এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভারতের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারণ, অপরিশোধিত তেল বিভিন্ন শিল্পের জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ ও কোম্পানির মুনাফা কমার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়ার মতো বৃহৎ তেল কোম্পানির ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি লাভজনক হতে পারে। রিপোর্ট বলছে, তেলের দাম প্রতি ডলারে ১ ডলার বাড়লে এই দুই সংস্থার প্রতি শেয়ারে আয় (EPS) ১.৫–২% পর্যন্ত বাড়তে পারে।

সরকার ২০২৪-র ডিসেম্বরে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের উপর থেকে উইন্ডফল ট্যাক্স তুলে নেওয়ায় ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়ার আয় বৃদ্ধিতে বাধা নেই। এছাড়া অয়েলফিল্ডস (রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪ অনুযায়ী বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করার ফলে পুনরায় উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপের সম্ভাবনাও কম।

এছাড়া অয়েল ইন্ডিয়ার আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নুমালিগড় রিফাইনারির উৎপাদন ক্ষমতা ৩ থেকে ৯ এমএমটিপিএ করার পরিকল্পনা। রিফাইনারি সম্প্রসারণের ফলে উৎপাদনের ওপর থাকা এক্সসাইজ ডিউটির সুবিধাও পাবে সংস্থাটি, যা ভবিষ্যতে আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.