এ ভাবে টানা ১০ দিন সংস্থার উৎপাদন প্রকল্প বন্ধ থাকলে বাজারের চাহিদা পূরণে ঘাটতি দেখা দেবে না তো?
বিবি ডেস্ক: কোভিড-১৯ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজের সমস্ত উৎপাদন প্রকল্পগুলি বন্ধ রাখছে দেশের বৃহত্তম দু’চাকার গাড়ি নির্মাতা সংস্থা হিরো মটোকর্প। এমনকী সংস্থার গ্লোবাল পার্টস সেন্টার-ও বন্ধ থাকবে। পরিবর্তে উৎপাদন প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে এই সময়ে।
সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত সংস্থার প্রত্যেক উৎপাদন প্রকল্প এবং গ্লোবাল পার্টস সেন্টার বন্ধ থাকবে। সংস্থার কর্পোরেট অফিস ইতিমধ্যেই ওয়াক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে চলছে। হাতে গোনা যে ক’জন সদস্য অফিসে আসছেন, তাঁদেরকেও রোটেশন পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এ ভাবে টানা ১০ দিন সংস্থার উৎপাদন প্রকল্প বন্ধ থাকলে বাজারের চাহিদা পূরণে ঘাটতি দেখা দেবে না তো? সংস্থা জানিয়েছে, “শাটডাউনটি কোম্পানির চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে না। অনেক রাজ্যেই কোভিড মোকাবিলায় বিধিনিষেধ জারির ফলে স্থানীয় বাজারে প্রভাব পড়েছে। ফলে নতুন করে কোনো ঘাটতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই”।
গত বছর দেশজুড়ে জারি হয়েছিল করোনা লকডাউন। তার পরে মে মাসে আনলক হওয়ার পরে, হিরোর বিক্রিবাট্টা যথেষ্ট পরিমাণে লাফিয়ে বেড়েছিল। দেশব্যাপী লকডাউনের পরে গ্রামীণ এলাকায় চাহিদা দ্রুততর হয়। ব্যক্তিগত চলাফেরার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরে হিরোর মোটরসাইকেলের বিক্রি বেড়েছে। তার উপর উৎসবের মরশুমেও বাড়তি বিক্রির রাস্তা খুলে যায়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিরো কর্তৃপক্ষ আশাপ্রকাশ করেছিলেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গ্রামীণ বাজারের চাহিদা আরও বাড়বে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদক্ষেপের উপর ভর করেই এমনটা প্রত্যাশা করেছিল সংস্থা।
তবে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি রাজ্য নতুন করে কঠোর লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারি করেছে। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় অটো শিল্প। একাধিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা আশঙ্কা করেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের ভয়াবহতা ফিরে আসতে পারে কারণ অনেক জায়গায় নাইট কারফিউ, লকডাউন জারির কারণে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: Covid Vaccine: খোলা বাজারে কোভিড ভ্যাকসিনের দাম কত হতে পারে?