বিমা থেকে সরতে পারে জিএসটি, আলোচনা হবে কাউন্সিলের ৫৪তম বৈঠকে

জিএসটি কাউন্সিলের তম বৈঠক আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এতে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ১৮ শতাংশ জিএসটি হার হয় কমানো যেতে পারে বা এটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জীবন ও চিকিৎসা বিমা প্রিমিয়ামের উপর থেকে ১৮ শতাংশ পণ্য ও পরিষেবা কর অপসারণের অনুরোধ করেছেন নীতিন গডকরী। ২৮ জুলাই তারিখের একটি চিঠিতে, গডকরী বলেছিলেন, “জীবন এবং চিকিৎসা বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি এই ক্ষেত্রের ব্যবসায়ের বৃদ্ধিতে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে। যা পরিবর্তন করা প্রয়োজন”।

স্বাস্থ্য বিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশই বেড়েছে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি বলেছে কেন্দ্র এই অজুহাতে মানুষের স্বাস্থ্য থেকেও অর্থ উপার্জন করছে। রিপোর্ট অনুসারে সংসদে বিষয়টির প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, “বেশ কিছু পরামর্শ এসেছে এবং আমি জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করব”। বিমার উপর পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি নিয়ে সেই সমালোচনার প্রভাব পড়তে চলেছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে।

বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার অথবা হ্রাসের এই প্রস্তাব কেন্দ্র নিজেই সামনে আনতে পারে। তবে কতগুলি রাজ্য এর সমর্থনে আসে সেটাই দেখার বিষয়। কারণ জীবন এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে প্রাপ্ত জিএসটির ৭২ শতাংশ রাজ্যগুলির অ্যাকাউন্টে যায় এবং ২৭ শতাংশ কেন্দ্রের কাছে থাকে। জিএসটি স্ল্যাবের পরিবর্তন এবং এর যৌক্তিকতা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার উপর প্রদত্ত পণ্য ও পরিষেবা করের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার গত তিন বছরে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা বিভাগ থেকে জিএসটি হিসাবে প্রায় ২৪০০০ কোটি সংগ্রহ করেছে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.