বিদেশি ইভি নির্মাতাদের আকর্ষণে আমদানি শুল্ক ছাড়! নয়া নীতির দরজা খুলছে কেন্দ্র

বিদেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের ভারতে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ভারত সরকার তাদের জন্য আমদানি শুল্ক কমানোর যে বিশেষ নীতি ঘোষণা করেছিল। এ বার তারই জন্য চলতি মাসেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই আবেদন চলবে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত।

২০২৪ সালের মার্চে ঘোষিত এই নীতিমালার অধীনে, কোনও বৈদ্যুতিক গাড়ির মূল্য যদি ন্যূনতম ৩৫,০০০ ডলার হয়, এবং নির্মাতা সংস্থা ভারতে ৪,১৫০ কোটি টাকা (প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করে তিন বছরের মধ্যে একটি উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলে, তাহলে ওই গাড়ির আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। এই রেহাইয়ের আওতায় বছরে সর্বোচ্চ ৮,০০০ গাড়ি আমদানি করা যাবে।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ইলন মাস্কের টেসলা-সহ বিশ্বের বড় ইভি নির্মাতাদের ভারতে আকৃষ্ট করা। দীর্ঘদিন ধরেই টেসলা ভারতের উচ্চ আমদানি শুল্কের সমালোচনা করে আসছে। যদিও বৈশ্বিক বাজারে ইভি চাহিদা কিছুটা কমলেও, ভারত এখনও এই ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশমান এক বাজার।

তবে এই নীতির আওতায় সুবিধা পেতে হলে সংস্থাগুলিকে কঠিন কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। নতুন নীতিতে অর্থনৈতিক যোগ্যতার মানদণ্ড আরও কঠোর করা হয়েছে। নীতিতে বলা হয়েছে, যেকোনও সংস্থাকে চতুর্থ বছরে ন্যূনতম ₹৫,০০০ কোটি এবং তার পরের বছরে ₹৭,৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করতে হবে। এই লক্ষ্যে ব্যর্থ হলে রাজস্ব ঘাটতির উপর ৩ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা বসতে পারে।

ভারতের ভারী শিল্প মন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই নীতির মাধ্যমে সরকার প্রকৃত ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে চায় এবং অপ্রস্তুত সংস্থাগুলিকে বাদ দিতে চায়।

এই নীতি কার্যকর হলে ভারতের স্থানীয় ইভি নির্মাতাদের জন্য প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তবে একই সঙ্গে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.