বুধবার সকালে দেশের ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম বেড়েছে। এর মূল কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিবাচক সংকেত ও স্পট মার্কেটে সোনার চাহিদা বৃদ্ধির ঘটনা।
আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ও ট্রেজারি ইয়িল্ড কমার কারণে সোনার দাম বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন অর্থনৈতিক ডেটার দিকে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কাটছাঁটের প্রত্যাশা নির্ধারণে সহায়ক হবে। তৃতীয় দিনের মতো ১০ বছরের ট্রেজারি ইয়িল্ড কমেছে, যা সোনার আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরো বিক্রয়, শিল্প উৎপাদন এবং সাপ্তাহিক বেকারত্ব দাবির তথ্য, যা সুদের হারের পূর্বাভাসের নতুন দিকনির্দেশ করবে। এই তথ্যগুলো সোনার মূল্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডিসেম্বরের জন্য এমসিএক্স সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ০.১২ শতাংশ বেড়ে ৭৬,৪৫১ টাকায় ট্রেড করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের দুর্বলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সোনার বাজারের সামগ্রিক প্রবণতা ইতিবাচক থাকবে। বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, সুদের হার হ্রাস এবং নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সোনার চাহিদা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএমএফ অনুমান করছে যে বিশ্বব্যাপী সরকারি ঋণ আগামী তিন বছরের মধ্যে মোট জিডিপির ১১৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, কঠিন আর্থিক শর্তাবলী, এবং অর্থনৈতিক নীতির অনিশ্চয়তার কারণে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে সোনার চাহিদা আরও বাড়বে এবং এর ফলে মূল্য বৃদ্ধি পাবে।