আবারও বাড়ছে সোনার দাম (Gold price)। সদ্য শেষ হওয়া ২০২২-এ প্রায় ১৪.৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ধরা পড়েছিল হলুদ ধাতুর দামে। টানা দশম সপ্তাহের সেই রেশ রয়ে গিয়েছে নতুন বছরেও।
এখন সোনার দাম
গত সপ্তাহে, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির জন্য সোনার ফিউচার চুক্তি সাপ্তাহিক ১.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনা এখন কেনাবেচা হচ্ছে ৫৫,৭৩০ টাকায়। অন্য দিকে, গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারেও তীব্র বৃদ্ধি ঘটেছে সোনার দামে। প্রায় ২.৩৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম বন্ধ হয়েছে ১,৮৬৫ ডলারে।
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী এক থেকে দুই সেশন যদি দেশীয় বাজারে সোনার দাম ৫৪,৫০০ স্তরের উপরে থাকে, তা হলে নতুন একটা স্তরে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। কারণ, ভারতে বিয়ের মরশুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারে সোনার চাহিদার তীব্র বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
কী কারণে বাড়ছে সোনার দাম
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের মন্তব্যের পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা এবং ডলারের দর কমে যাওয়ার মতো ঘটনাপ্রবাহ সোনার দামকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যান্য দেশের মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম পুনরুদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ডলারের সূচক বাণিজ্যে পতন এবং বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মধ্যেই বৃদ্ধির অনিশ্চয়তাও বাড়ছে।
রিপোর্টে প্রকাশ, মার্কিন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। যে কারণে মার্কিন ফেডের সুদের হার বৃদ্ধি চলমান মন্দার আশঙ্কার মধ্যে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কী করবেন বিনিয়োগকারীরা
সোনার দামে লাগাতার বৃদ্ধিতে এমনিতেই আকৃষ্ট হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তারই মধ্যে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক কারণের নিরিখে বিনিয়োগের বহর আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী সপ্তাহে বিনিয়োগের জন্য ‘স্বর্গ’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে সোনা। দামে সামান্য পতন ঘটলেই, সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৫৪,৭০০ স্তরের কাছাকাছি শক্তিশালী সাপোর্ট রয়েছে সোনার। যেটা প্রায় ৫৫,২০০ থেকে ৫৫,০০০-এর স্তরে স্থিতিশীল হওয়া উচিত।
এ ভাবেই সোনার দাম নতুন শিখরে পৌঁছে যেতে পারে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এক থেকে দুই সেশনের জন্য ৫৪,৫০০ স্তরের উপরে টিকে থাকতে পারে সোনার দাম। অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে ১,৮২০ ডলারের কাছাকাছি শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে স্পট গোল্ডের। এটি ১,৮৯০ থেকে ১,৯১০ ডলারের মধ্যে অবাধ বিচরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে ৫-এ ৩! এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিন পতনের সাক্ষী স্টক মার্কেট