ভারতে আসন্ন উৎসব মরশুমে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা। জুলাই মাসে সোনার আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নিয়ে আসার ফলে দাম আকর্ষণীয় হয়েছে, যা খুচরো ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেবে। ওর্য়াল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ভারতীয় বিভাগের সিইও সচিন জৈন জানিয়েছেন, শুল্ক হ্রাসের কারণে প্রধানত খুচরো ক্রেতারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার ক্রেতার দেশ ভারত। সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পেলে বিশ্ব বাজারেও সোনার দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। গত সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম সর্বকালের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। তবে ভারতীয় বাজারে শুল্ক হ্রাসের পরে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। এর ফলে সোনার আমদানির চাহিদা বাড়লেও, ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা টাকার উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
উৎসবের মরশুমে চাহিদা বাড়বে
আসন্ন উৎসবের মরশুম, বিশেষ করে দীপাবলি ও দুর্গাপূজা, এবং বিয়ের মরশুমে সোনার চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই সময় সোনা কেনা শুভ বলে বিবেচিত হয়। টাইটান জুয়েলারির সিইও অজয় চাওলা জানিয়েছেন, শুল্ক হ্রাসের পর দাম কমেছে এবং খুচরো বাজারে চাহিদা বাড়ছে, যা আগামী মাসগুলিতেও অব্যাহত থাকতে পারে।
মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ভারতীয় অপারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসের ও বলেছেন, শুল্ক হ্রাস না হলে সোনার দাম ৮০,০০০ টাকার ওপরে পৌঁছাতে পারত, তবে বর্তমানে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে, যা আসন্ন ওনাম উৎসবের জন্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে।
গহণা সোনার বাজার চাঙ্গা হবার সম্ভাবনা
বর্তমানে ভারতের বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭১,৮০০ টাকা, যা জুলাই মাসে রেকর্ড করা ৭৪,৭৩১ টাকার চেয়ে কম। শুল্ক হ্রাসের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে দামের ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা কমে গিয়েছে, যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই অবস্থায়, আসন্ন উৎসব মরশুমে সোনার বাজার আরও চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।