প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি নেতা জসবন্ত সিংহ প্রয়াত

Jaswant Singh

বাংলাbiz ডেস্ক: রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা জসবন্ত সিংহ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

বর্ষীয়ান রাজনীতিক জসবন্ত গত জুন মাস থেকে দিল্লি আর্মি হাসপাতালে (রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল) ভরতি ছিলেন। এ দিন সকাল ৬.৫৫-য় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

একই সঙ্গে হাসপাতাল জানায়, মাল্টি অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম এবং মাথায় পুরোনো আঘাতের জেরেই অবসরপ্রাপ্ত মেজর এবং প্রাক্তন মন্ত্রী হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। রবিবার সকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবং তাতেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।

এ দিন টুইটারে প্রয়াত জসবন্তকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,  প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অনেকেই।

মোদী লিখেছেন, “প্রথমে এক জন সৈনিক হিসেবে, পরে রাজনীতির মাধ্যমে নিরলস ভাবে দেশের সেবা করেছিলেন জসবন্ত সিংহজি। তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।” বিজেপিকে শক্তিশালী করতে জসবন্তের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেছেন মোদী।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও গভীর শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, তিনি দেশকে বহু ভাবে সেবা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে তাঁর একাধিক বড়ো সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রক, ২০০০- ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন জসবন্ত। তার আগে ১৯৯৬-এর মে মাসে ১৫ দিনের মেয়াদি বাজপেয়ী সরকারেও অর্থমন্ত্রী ছিলেন জসবন্ত। বাজপেয়ীর আমলে অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রী হিসাবে কেন্দ্রের একের পর এক বড়ো সিদ্ধান্তের মূলে ছিলেন জসবন্ত সিংহ।

জসবন্তের জন্ম ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বাড়মের জেলার জসোল গ্রামে। পুরো নাম জসবন্ত সিংহ জসোল। মেয়ো কলেজ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি উত্তীর্ণ জসবন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে। তিনি কর্মরত ছিলেন ‘মেজর’ পদে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। আশির দশকে রাজ্যসভায় যোগ দেন।

জসবন্ত সিংহের মৃত্যুতে রাজনীতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বাংলাbiz-এ আরও পড়তে পারেন

তিন দফায় বিহারে ভোট, শুরু ২৮ অক্টোবর, গণনা ১০ নভেম্বর

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.