ইপিএফে সুদের হারবৃদ্ধির প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের

Currency

বিবিডেস্ক: ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে প্রায় ছ’কোটি ইপিএফও (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন) সদস্য নিজেদের গচ্ছিত টাকার উপর ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ইপিএফও-র এই প্রস্তাবে মঙ্গলবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইপিএফও-র সিদ্ধান্ত নির্ণায়ক শীর্ষ সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টি (সিবিটি) এই অনুমোদনের শিলমোহর দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সিবিটি-র ওই শিলমোহরের পর প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকে। এ দিন মন্ত্রক চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পরই ইপিএফও-র প্রায় ছ’কোটি গ্রাহক এই বর্ধিত হারে সুদের সুবিধা পেতে করতে চলেছেন।

গত লোকসভা ভোটের আগেই ইপিএফ-এ সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। সে সময়ই জানানো হয়, ইপিএফে সুদের হার ৮.৬৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তিন বছর পর ফের এই সুদের হার বাড়াল কেন্দ্র। এর আগে ইপিএফের সদস্যরা ৮.৫৫ সুদ পাচ্ছিলেন।

ইপিএফও সূত্রে খবর, সংস্থার উদ্বৃত্ত গ্রাহকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই এই সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে .১ শতাংশ সুদের হার বৃদ্ধি হলেও গত পাঁচ বছরে এখনও নীচের দিকেই পড়ে রয়েছে ইপিএফের সুদের হার।

২০১৬-১৭ সালেও ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। তার আগে ২০১৫-১৬ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তারও আগে ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৪-১৫ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে ইপিএফে সুদের হার। এ বার .১ শতাংশ বাড়ানো হলেও পুরনো জায়গায় ফেরেনি সুদের হার।

সংস্থা সূত্রে খবর, বর্তমানে পেনশনপ্রাপক-সহ প্রায় ৬.৩ কোটি গ্রাহক ইপিএফে এই বর্ধিত হারে সুদ পাবেন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.