দূষণ (Pollution) এবং তেলের আমদানি খরচ কমাতে দেশ জুড়ে পরিবেশবান্ধব (Green Energy) বৈদ্যুতিক বাসের (Electric Bus) সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। সরকারের লক্ষ্য ছিল আগামী চার বছরের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক বাস (Electric Bus) চালানোর। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাদ সেধেছে ব্যাঙ্কগুলির অসহযোগিতা।
অভিযোগ, বৈদ্যুতিক বাস (Electric Bus) কেনার জন্য ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাঙ্ক। ফলে পুঁজি জোগাড়ের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন অনেকে। কঠিন হচ্ছে বরাত পূরণ। এমন চললে কেন্দ্রের পরিবেশবান্ধব (Green Energy) গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ার উদ্যোগ ধাক্কা খেতে পারে বলেই মনে করছে পরিবহণ শিল্প। তবে সরকারি ভাবে ভারী শিল্প মন্ত্রক মন্তব্য করেনি।
কেন ঋণ দিতে চাইছে না ব্যাঙ্ক
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Vehicle) ও বাসে জোর দিলেও দেশের বেশির ভাগ জায়গায় সেগুলির চার্জিং স্টেশনের মতো পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি তেমন ভাবে। ফলে এক দিকে বেশি সংখ্যক গাড়ি রাস্তায় নামলে সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
অন্য দিকে এই পরিকাঠামোর সমস্যাই কাঁটা হচ্ছে বাস নির্মাতা সংস্থাগুলির ঋণ জোগাড়ের পথে। তাঁরা বলছেন, একটি বৈদ্যুতিক বাস (Electric Bus) তৈরির খরচ প্রায় সওয়া এক কোটি টাকা। যা ডিজ়েল বাসের প্রায় পাঁচ গুণ। কোনও কারণে নির্মাতা সংস্থা ডিজ়েল বাসের ঋণ শোধ করতে না পারলে ব্যাঙ্ক তা হাতে নিয়ে অন্য কোনও জায়গায় সহজেই বিক্রি করে বকেয়া টাকা তুলে নেয়। কিন্তু পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় বৈদ্যুতিক বাস বিক্রি করে বকেয়া আদায় তাদের পক্ষে কঠিন। তাই এ ক্ষেত্রে ধার দিতেও অনিচ্ছুক অনেক ব্যাঙ্ক। তার উপরে, বেশি ভাগ সময় সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলি খরচের চেয়ে কম ভাড়ায় বাস চালায়। সেই কারণেও বকেয়া মেটানোর ক্ষেত্রে দেরি হয় তাদের।
সমাধান কোন পথে
বৈদ্যুতিক বাস নির্মাতা সুইচ মোবিলিটির কর্তা মহেশ বাবুর অভিযোগ, সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির জন্য বরাত পাওয়া গাড়ি নির্মাতাদের তাই ঋণ দিতে আগ্রহ দেখায় না ব্যাঙ্ক। এই ঋণকে চড়া ঝুঁকির তালিকাতেও রাখে। বহু ক্ষেত্রে বাস সংস্থাগুলির থেকে সিকিয়োরিটি হিসেবে টাকা চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, এই সমস্যার অন্যতম সমাধান বৈদ্যুতিক গাড়ির পোক্ত পরিকাঠামো তৈরিতে জোর।
আরও পড়ুন: ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত শেয়ার বাজারের, লাভের অঙ্কে টেক্কা ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের