পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলির গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিমান সংস্থাগুলিকে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে একটি পরামর্শ জারি করল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) ।
ভারতের বিমান সংস্থাগুলির জন্য পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করায় বিশেষ করে উত্তর ভারতের শহরগুলি, যেমন দিল্লি থেকে ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলির যাত্রাপথ দীর্ঘতর হয়েছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, আকাশসীমার নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রী পরিষেবায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
ডিজিসিএ বলেছে, সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা ও ওভারফ্লাইট রুট পরিবর্তনের কারণে বিমান চলাচল ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বহু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুট পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছে, ফলে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় ফ্লাইটের ব্লক টাইম বেড়েছে এবং অপারেশন বা জ্বালানি চাহিদার কারণে মাঝপথে কারিগরি বিরতির প্রয়োজন পড়ছে।
ফ্লাইটের ব্লক টাইম বলতে মূলত যাত্রার মোট সময় বোঝানো হয়, অর্থাৎ ছাড়ার সময় থেকে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত।
ডিজিসিএ-এর মতে, বিমান সংস্থাগুলিকে অবশ্যই যাত্রীদের আগেভাগে জানাতে হবে নতুন রুটিং, যাত্রার মোট সম্ভাব্য সময় এবং কারিগরি বিরতির সম্ভাবনা সম্পর্কে। যাত্রীদের বোঝাতে হবে যে এসব বিরতি শুধুমাত্র অপারেশনজনিত এবং সাধারণত যাত্রীদের বিমানেই থাকতে হবে।
এই তথ্য চেক-ইন, বোর্ডিং গেট এবং সম্ভব হলে এসএমএস/ইমেল-এর মাধ্যমে জানানো উচিত।
ডিজিসিএ আরও বলেছে, ফ্লাইটের ব্লক টাইম অনুযায়ী খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ ঠিক করে ইন-ফ্লাইট ক্যাটারিং পরিকল্পনা করতে হবে। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত মেডিকেল কিট ও ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কাস্টমার সার্ভিসের দিক থেকেও, বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের কাস্টমার কেয়ার ও রিজার্ভেশন টিমকে সম্ভাব্য দেরি ও ফ্লাইট বাতিল নিয়ে প্রস্তুত রাখতে হবে এবং সংযোগ ফ্লাইট মিস হলে তার ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা রাখতে হবে।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ভারতের বিমান সংস্থাগুলির জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, তাদের প্রায় ৫০টি আন্তর্জাতিক রুটে দীর্ঘতর সময় লাগবে এবং সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
তারা আরও জানিয়েছে, বর্তমান বিমানবহর অনুযায়ী আলমাটি ও তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালানো সম্ভব নয়।
ফলে ২৭ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত আলমাটি এবং ২৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত তাসখন্দ রুটের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।