আপনার চেকের পুরো দায়িত্ব আপনারই, এমনকী অন্য কেউ লিখলেও, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

bank cheque

বিবি ডেস্ক: চেক বাউন্সের মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির চেকের যাবতীয় দায়িত্ব তাঁরই। এমনকী অন্য কেউ যদি ওই চেকের বিশদ বিবরণ পূরণ করেন, তা হলেও দায় এড়াতে পারবেন না চেক ইস্যুকারী।

মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রাপককে নিজের স্বাক্ষর করা একটি চেক দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ওই চেকে স্বাক্ষর থাকলেও অন্য বিবরণগুলি তিনি ফাঁকা রেখেছিলেন বলে দাবিও করেছেন। পরবর্তীতে বিশদ বিবরণ তাঁর হাতে লেখা কি না, তা নির্ধারণ করার জন্য এক হস্তাক্ষর বিশেষজ্ঞকে নিযুক্ত করার অনুমতি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।

শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে যে ব্যক্তি চেক কাটছেন, তিনি যদি তাতে স্বাক্ষর করেন এবং প্রাপককে দেন, তা হলে তাঁকেই দায়বদ্ধ বলে ধরে নেওয়া হয়। চেকটি যদি ঋণ পরিশোধ বা দায় পরিশোধের জন্য জারি করা হয় তা হলে চেকের বিশদ বিবরণ ইস্যুকারীর দ্বারা নয়, বরং অন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারা পূরণ করা হয়েছে, তেমন ধারণাও অমূলক হবে।

এই বছরের ১৯ মে, চেক বাউন্সের মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পাঁচটি রাজ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ আদালত গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্টের (এনআই) অধীনে, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে প্রচুর সংখ্যক বিচারাধীন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ আদালতগুলি স্থাপন করা হয়েছিল।

এই রাজ্যগুলিতে বিচারাধীন থাকা অসংখ্য মামলার প্রেক্ষিতে, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিআর গাভৈ এবং এস রবীন্দ্র ভাটের সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির প্যানেল মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করেন।

বিশেষ আদালতের প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন রাকেশ সিদ্ধার্থ, সিকে চতুর্বেদী, সতীন্দ্রকুমার গৌতম, চন্দ্র বোস এবং রাম ভগৎ সিং। তাঁদের নিয়োগ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

সারা দেশে চেক বাউন্স মামলার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট এর আগেও বেশ কয়েকটি নির্দেশ জারি করেছিল।

আরও পড়ুন: দীপাবলিতেই কলকাতা-সহ ৪ শহরে চালু হবে জিও-র ৫জি

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.