চাঁদাবাজি! ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে কঠিন ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ চিনের

“এটা চাঁদাবাজি।” — এই ভাষাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ হুমকির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল চিন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, চিন যদি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে আরোপিত ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক না তুলে নেয়, তা হলে চিনা পণ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। চিনকে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন।

যদি কোনও পক্ষই পিছু না হটে এবং ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, তবে চলতি বছরে চিনা পণ্যের উপর মোট নতুন আমদানি শুল্ক বেড়ে ১০৪ শতাংশে পৌঁছতে পারে। এতে করে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ আরও প্রকট হবে, যার ফলে কোভিড পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় বাজার ধস দেখা দিতে পারে।

মঙ্গলবার চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি ভুলের পর ভুল। এটি আবারও মার্কিন চাঁদাবাজির প্রকৃতি তুলে ধরে।”

চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক আরও বলেছে, “যদি যুক্তরাষ্ট্র জেদেই থাকে, চিন শেষ পর্যন্ত লড়বে।”

মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে “আলোচনার” মাধ্যমে সমাধান চায় এবং মনে করে “বাণিজ্য যুদ্ধে কোনও পক্ষই জয়ী হয় না।”

চিনের এই স্পষ্ট বার্তার পেছনে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘একতরফা দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান নেওয়ার সরকারি নীতি। গত সপ্তাহান্তে বেজিং একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি রবিবার একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে লেখে, “মার্কিন শুল্কের কিছু প্রভাব পড়বে, তবে আকাশ ভেঙে পড়বে না।”

আরও কঠিন সুরে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে প্রথম বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার পর — তারা যতই চাপ দিক বা লড়াই করুক, আমরা আমাদের অগ্রগতি চালিয়ে গেছি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, যত চাপ আসে, ততই আমরা দৃঢ় হই।”

মঙ্গলবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, বেজিং যদি তাদের ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে বুধবার থেকেই চিনা পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করবেন তিনি।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.